জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

0
209

মোঃ অালী হাসান: জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন রোগী। চিকিৎসকরা বলছেন অস্বাভাবিক গরমের কারণে এই
রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত ৭ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২ শতাধিক নারী,
পুরুষ ও শিশু জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল
ছেড়েছে। কেউ কেউ চিকিৎসা নিচ্ছেন এক সপ্তাহ ধরে। অন্যদিকে জেলার উপজেলা হাসপাতাল, বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কনসালটেশন সেন্টারেও ডায়রিয়ায় আক্রান্তরা চিকিৎসা নিচ্ছে। শুধু জেলা হাসপাতালেই প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসছে ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু ও
বয়স্ক। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ওইসব রোগীদের জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে ও বারান্দায় গাদাগাদি করে তাদের চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।
তবে হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহ থেকে এর প্রকোপ বাড়তে থাকে। প্রায় প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। শনিবার পর্যন্ত আধুনিক জেলা হাসপাতালে প্রায় ২০ জন শিশু ভর্তি ছিল। বৈরী আবহাওয়া, প্রখোর রোদ, ধুলোবালির পাশাপাশি
অপরিচ্ছন্নতার কারণে রোগরে বিস্তার ঘটঠে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ভর্তির পর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা ৭-৮ দিন চিকিৎসা নেয়ার
পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন।
হাসপাতালেন চিকিৎসা নিতে আসা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শহরের শাপলা নগর মহল্লার ২ বছরের শিশু সানজিদা, আক্কেলপুর উপজেলার মাতাপুর গ্রামের
সাদিয়ার অভিভাবক জানান, তারা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে গত পাঁচদিন থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের এলাকার প্রায় শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত
হচ্ছে। অপরদিকে সদরের পাচুরচক গ্রামের রফিকুল ইসলাম, কালাই উপজেলার হাতিয়র গ্রামের আক্কাস আলী
বলেন, তারা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ৭ দিন যাবত হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা বলেন, ইদানিং প্রায় মানুষের এই অসুখ হচ্ছে। কেউ হাসপাতালে আসে, আবার অনেকে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এফ এম মুছা আলি মনছুর বলেন, অস্বাভাবিক গরম ও
প্রখর রোদের সাথে ধুলাবালির কারণে ডায়রিয়া রোগ বেড়ে চলেছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মাত্রাটা বেশি। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া আক্রান্ত প্রায় ২শ
নারী, পুরুষ ও শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতা অবলম্বন
করতে হবে। তাহলেই রোগমুক্ত থাকা সম্ভব।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here