জুবায়ের হত্যা: হাইকোর্টের রায় ২৩ জানুয়ারি

0
371

খবর৭১:;জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায় আগামী ২৩ জানুয়ারি ঘোষণা করবে হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করে আদেশ দেয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল। সঙ্গে ছিলেন সহকারী এটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস।

এর আগে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনকে ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দেয়া হয়।

ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী। ওই রায়ে ফাঁসির দন্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রইছ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম। এদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম রাজু ছাড়া বাকি চারজন পলাতক।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ডু অভি, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ ও ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ, ইতিহাস বিভাগের মাজহারুল ইসলাম এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাজমুস সাকিব তপু। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে অরূপ পলাতক, বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।

পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং আসামিদের ডেথরেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কর্মী জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে তারই সংগঠনের অপর একটি পক্ষ। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই ৯ জানুয়ারি ভোরে মারা যান জুবায়ের। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here