খবর ৭১ঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।
বুধবার (১৮ জুলাই) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) চতুর্থ দিনের আপিলের শুনানি শেষে আজ বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করে হাইকোর্ট। খালেদা জিয়ার আইনজীবী রেজাক খান মামলার প্রথম সাক্ষী হারুন অর রশিদসহ চারজনের জবানবন্দী পড়ে শোনান।
শুনানিতে আবদুর রেজাক খান বলেছেন, ‘দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ইমেজ, পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার, পলিটিক্যাল লাইফ ধ্বংস করতে কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই তাকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার সারা জীবনকে পর্যুদস্ত করতেই এই মামলা করা হয়েছে।’
‘আর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের একমাত্র সাক্ষী ও বাদি ও তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। তিনি ছাড়া অন্য কোনো সাক্ষী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু বলেনি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অফিস বা সোনালী ব্যাংক থেকেও কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে কোনো কিছু নেই। মামলার প্রথম সাক্ষী ছাড়া কোনো সাক্ষী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেননি। এ মামলার অন্য অ্যাভিডেন্স মেলালে দেখা যাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো কিছু প্রমাণ হয়নি।’
গত ১২ বছরের জুলাই বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। এর মাধ্যমে গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় রায় ঘোষণার পর ১৫৩ তিন পর শুনানি শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।