জামিন শুনানির দিন খালেদাকে আদালতে নিতে আবেদন

0
300

খবর৭১: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড পাওয়া বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানির দিন তাকে থাকতে হতে পারে বিচারিক আদালতে।

যে আদালতে তার দণ্ড হয়েছে, সেই আদালতে চলা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের দিন নির্ধারিত আছে ২৫ ফেব্রুয়ারি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি এই মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তি উপস্থাপনের পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন বিচারক আখতারুজ্জামান।

এর এক সপ্তাহ পর ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর এই বিচারক জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। সেদিন থেকেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাগারে বন্দী।

২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাতেও খালেদা জিয়াকে হাজির করতে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার মতো এই মামলারও বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

দুদকের আইনজীবী মোশররাফ হোসেন কাজল বলেন, ‘আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন নির্ধারণ আছে। ওই দিন আদালতে হাজিরের জন্য আমরা আবেদন করেছি।’

বন্দী থাকা অবস্থায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলায় খালেদা জিয়া আদালতের মাধ্যমে হাজিরা দেন আইনজীবীদের মাধ্যমে। যদিও এই মামলায় তাকে হাজির হতে পরোয়ানা জারি হয়েছিল।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যেদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার আবেদন এসেছে, সেদিনই বিএনপি নেত্রীর জামিন শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ আছে হাইকোর্টে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করে। একই বেঞ্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে অর্থদণ্ড স্থগিত করেছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ।

ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন-খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here