জামালগঞ্জে পাউবো’র সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার প্রকল্পে ভিন্ন প্রকল্প করে ৮০লক্ষ টাকা বরাদ্ধ। 

0
258
জামালগঞ্জ(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:
জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওর উপ-প্রকল্পের আওতায় ভীমখালী ইউনিয়নে ডুবন্ত বাঁধ পুনরাকৃতি করন কাজে ৪টি পিআইসির মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে।
এসব প্রকল্পে গ্রামীন সড়ক ও উচু কান্দায় হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মান করছে পাউবো ও সংশ্লিষ্ট পিআইসিরা।নীতিমালা উপেক্ষা করে কম ঝুকিপূর্ণ এসব জায়গায় বেরীবাঁধ নির্মান করে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় করা হচ্ছে।
জানাযায়,বিগত সময়ে এই ইউনিয়নে পাউবোর কোন প্রকল্প ছিলনা।সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান মেয়াদে পাউবো অনুমোদিত উজ্জলপুর থেকে সন্তোষপুর পর্যন্ত একটি মাত্র প্রকল্পে সাড়ে ৬লাখ টাকা বরাদ্ধ ছিল।আর এই বরাদ্ধ দিয়েই গেল বছরের মত হাওর দূর্যোগ মোকাবেলা করা হয়েছে।এবছর সরকারের উদারতার সুযোগে রহস্য জনক ভাবে ব্যায়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪টি প্রকল্প করে বরাদ্ধ ধরা হয়েছে প্রায় ৮২ লাখ টাকা।
এসব স্হানে ৪টি প্রকল্প করে দু’দফা প্রাক্কলন বরাদ্ধ রদবদল ও বৃদ্ধি করা হয়েছে।পিআইসি সূত্রে জানা,প্রাথমিক প্রাক্কলনে ৪নং পিআইসিতে ৭লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্ধ থেকে বাড়িয়ে চুড়ান্ত প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ১৮লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
৫নং পিআইসিতে ১৪লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০লাখ ৯১হাজার টাকা।৬নং পিআইসিতে ১৪লাখ ৯০হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০লাখ ৩৯হাজার টাকা করা হয়েছে।৫০নং পিআইসিতে ১২লাখ টাকা বরাদ্ধের স্হলে ২১লাখ ৬৩হাজার টাকা করা হয়েছে।
অথচ এসব স্হানে বিগত বিভিন্ন সময়ে স্হানীয় সরকার বিভাগ থেকে বহুবার একাধিক প্রকল্প দিয়ে রাস্তার উন্নয়ন করা হয়েছে।সূত্রে জনা যায়,গেল বছর হাওর দূর্যোগ দেখা দিলে তড়িঘড়ি করে ৪ ও ৫ নং পিআইসি এলাকায় পাউবোর নিয়োজিত ঠিকাদার এক্সোভেটর দিয়ে বাঁধ নির্মান করেছিল।আর অক্ষত এসব বাঁধের উপর এবছরও দ্বিগুন বরাদ্ধ বৃদ্ধি করে বাঁধের নামে পাউবোর কাজ করানো হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার স্হানীয় কৃষকগন ও হাওর বাচাঁও সুনামগঞ্জ বাচাঁও অান্দোলনের ভীমখালী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক মজিদ মিয়া জানান,বিগত কোন সময়ে অামাদের এলাকা দিয়ে হাওরের ফসল তলিয়ে যায়নি।গ্রামের সড়ক ও উচু কান্দা অতিক্রম করে ঢলের পানি ঢুকার সম্ভবনা নেই।যদিও বর্ষাকালে নৌকা চলাচলে ও হাওরের পানি নিস্কাসনে দুএকটি ছোট খাড়া রয়েছে।কৃষকগন আরও বলেন, জোষ্ট্য আষাঢ় মাসেও এসব এলাকার সিংসভাগ বাঁধ ভাসমান থাকে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে হাওর রক্ষা নয় আমাদের চলাচলের রাস্তা নির্মান হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি।এব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা পাউবো কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন দাসের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।সুনামগঞ্জ জেলা পাউবোর নির্বাহি প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দীক ভূইয়াঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসও নিহার রঞ্জন দাশ আমার ফোন ধরেনা।তার খুঠির জোর কোথায়…? তিনি বলেন অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্হা নেব।
খবর ৭১/ ই :

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here