জামালগঞ্জের ভীমখালীতে ব্রীজ আছে-রাস্তা নেই,প্রকল্পে লুটপাট

0
399

খবর৭১:জামালগঞ্জ(সুনামগঞ্জ)  প্রতিনিধি:জামালগঞ্জ উপজেলা সদরের নিকটবর্তী ভীমখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ফেকুল মাহমুদপুর গ্রামে সামনের দৌলতা নদীতে ব্রীজ থাকলেও চলাচলের রাস্তা নেই।একই গ্রামের অন্য একটি রাস্তা মেরামত প্রকল্পে কাজ না করে টাকা লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে খোদ ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে।

গেল বর্ষায় গ্রামবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ অর্থায়নে ফেকুল মাহমুদপুর গ্রাম থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত বাঁশের সাঁকো নির্মান করে চলাচল করলেও এবছর ইউপি সদস্যর নিকট গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদের টিআর প্রকল্পের ২৫ হাজার জমাকৃত বাঁশ/টাকা দিয়ে এখনও কোন প্রকার সহায়তা না করায় সাঁকো তৈরীর কাজ শেষ হয়নি।এমন কি লোকজন চলাচল করতে পারছেনা।এই রাস্তার জন্য ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার লোকজন।

রাস্তাটি বাস্তবায়নের জন্য বার বার জন-প্রতিনিধি সহ প্রসাশনের নজরে আনলে তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।গত বছর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রচার ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করলেও রাস্তটি বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেননি জনপ্রতিনিধি গণ।

ফেকুল মাহমুদপুর থেকে মাদ্রসা পর্যন্ত ৪শত মিটার রাস্তায় মাটি ভরাট না হওয়ায় ও কান্দাগাঁও গ্রামের রাস্তা না হওয়ায় চরম দূর্ভোগে রয়েছে এই এলাকার লোকজন।স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম ভোগান্তিতে।

২নং ওয়ার্ডের মধ্যে এই রাস্তাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার থাকলেও রাস্তাটি বাস্তবায়নে স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি না থাকায় তারা পাস কাটিয়ে অন্যত্র প্রকল্প গ্রহন করেন।

জানা যায় চলতি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদ থেকে ফেকুল মাহমুদপুর গ্রামের অাব্দুল মান্নানের বাড়ী হইতে মসজিদের গোপাট পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য ভূয়া প্রকল্প তৈরী করে ২:৫০মে:টন চাল প্রকল্পে বরাদ্দ দিয়ে পুরো টাকাই আত্নসাত করেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান।

সরজমিনে প্রকল্প এলাকা ঘুরে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় এই প্রকল্পে মাটির রাস্তা মেরামতের কোন প্রয়োজন ছিল না।প্রকল্পে কোন মাটির কাজ হয়নি।বরং সরজমিনে দেখা গেছে ইউপি সদস্য তার নিজ বাড়ীর সাথে মিলিয়ে কিছু মাটির স্তুপাকার করে রাস্তা দখল নিয়ে শাক সবজি ফলিয়েছেন।যা গ্রামের জনসাধারণ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।প্রকল্পের পুরো টাকা অাত্নসাত করার প্রক্রিয়া চলছে।

সরজমিনে তদন্ত করে অাইন গত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন গ্রামবাসী।ভূয়া প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা অাত্নসাধের বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন,গ্রাম থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার কথা ছিল।বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ হয়নি।প্রকল্পে অাত্নসাতের ব্যাপারে ইউপি সদস্য বলেন কাজ করিয়েছি আমার বাড়ীর লাগোয়া রাস্তায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আল ইমরান বলেন,ব্রীজের পাশে আগামী হেমন্ত সৃজনে প্রকল্প গ্রহন করে মাটিভরাট করা হবে।রাস্তা মেরামত প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে অাইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here