“জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯ চূড়ান্তকরণের বিষয়ে জাতীয় কর্মশালা আয়োজিত”

0
374

খবর৭১ঃ
দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের অংশ হিসেবে জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯ চূড়ান্তকরণের বিষয়ে একটি জাতীয় কর্মশালা আজ বুধবার আয়োজিত হয়েছে।

সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মো: জাকির হোসেন এমপি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী জনাব বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রিচার্ড রাগান। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো আকরাম আল-হোসেন।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, পুষ্টিকর খাদ্য প্রদানে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আট হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় অর্থায়নের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, শিশুদের পেছনে এক ডলার বিনিয়োগ করলে আঠারো ডলার ফেরত পাওয়া যায়। খাদ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, স্কুল ফিডিং এর মাধ্যমে অপুষ্টির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, শান্তি চুক্তির পরে পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে। শিশুদের জন্য বিনিয়োগে কোন ক্ষতি নেই। এই বিনিয়োগে জাতি, ধর্ম, বর্ণ কোন কিছুই নেই। শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রয়োজনে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সময় দিয়ে হলেও সংশোধন করে দিতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এমপি বলেন, প্রত্যেককে নৈতিক অবস্থান থেকে আরো দৃঢ় হতে হবে। বাংলাদেশ আজ উদাহরণ হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে সুপরিচিত। মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সব থাকলেও মানসিকতার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশ সব সম্ভবের দেশ। জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯-এর সফল বাস্তবায়নের জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান নতুন নতুন প্রকল্প তৈরীর দিকে জোর দিতে বলেন। তিনি আরো বলেন, স্কুল ফিডিংয়ের জন্য সকল ধরনের সহযোগিতা তার মন্ত্রণালয় প্রদান করবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সারা বিশ্বে ৩৭০ কোটি শিশুর মধ্যে মাত্র ১৮ কোটি শিশুকে স্কুল মিল প্রদান করা হয়। রয়েছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা চক্রে প্রায় পৌনে দুই কোটি শিশুর মধ্যে প্রায় ৩২ লক্ষ শিশুকে স্কুল ফিডিং এর আওতায় আনা হয়েছে। ওয়ার্কশপে আরো জানানো হয় বাংলাদেশে ছয় হাজার কোটি টাকার বিস্কুটের বাজার রয়েছে। সাথে সাথে অর্ধ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা ডিম, মুরগি উৎপাদনের সাথে জড়িত। ওয়ার্কশপে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন স্কুল মিল নীতি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে শিশুদের বিকাশ স্বাভাবিক হবে এবং শিক্ষার মান নিশ্চিত করা সহজ হবে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here