জাতিসংঘে বাংলার দাবিতে ইবিতে পদযাত্রা

0
316

 

রুমি নোমান ইবি প্রতিনিধি:
জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলার দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে শহীদ মিনার অভিমুখে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহীদ মিনারে সংখিপ্ত সমাবেশ ও অনলাইনে ভোটিং কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হয়। জাতিসংঘে সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা বাংলার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীরাও ভোট প্রদাণ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহার নেতৃত্বে পদযাত্রাটি প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে গিয়ে সংখিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। জাগো নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফেরদাউসুর রহমান সোহাগের সঞ্চালনায় আবৃত্তি আবৃত্তি সংগঠনের সদস্য রিফার একুশের ককিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশ। পরে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে সমাবেশে সংখিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা। পরে তিনি জাতিসংঘে বাংলার দাবিতে জনমত গঠনে অনলাইন ভোটিং কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন। এসময় জাতিসংঘে বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা করার দাবিতে অনলাইনে ভোট প্রদাণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোমলিয়ান শিক্ষার্থী ইব্রাহিম এবং হামজা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের নেতা অধ্যাপক মামুনুর রহমান, অধ্যাপক মেহের আলী, অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন আজাদ, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ বিকুল, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর সাজ্জাদ হোসাইন, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদুর রহমান টিটু, প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম, ছাত্রমৈত্রীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মোর্শেদ হাবিব, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসাইন রুদ্র, সাধারণ সম্পাদক আসিফ খান, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমূখ।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নকোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা বলেন,‘আমি প্রথমেই আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং একই সাথে আমি জাতিসংঘের মহাসচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে দাবি জানাচ্ছি বাংলাকে জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা করা হোক। দাবির পক্ষে যুক্তি হলো- একমাত্র বাংলা ভাষারই রয়েছে রক্তাক্ত ইতিহাস। আর এ কারনেই ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দওেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ বাংলাকে তাদের অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ করলে পৃথিবীর সকল ভাষার প্রতি সম্মান জানানো হবে।’
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here