মো: হুমায়ুন কবির জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামে সোমবার সকাল ৮টায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঐ গ্রামের ছালিক মিয়া ও আঙ্গুর মিয়ার লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত নাদামপুর গ্রামের গৌছ মিয়ার পুত্র কয়েছ মিয়া (১৭), মছব্বির মিয়ার পুত্র ফাহিম মিয়া (২০), আবুল কালামের পুত্র শাহিদুজ্জামান মনি (২২), মক্রম উল্ল্যার পুত্র মজিদ মিয়া (৬০) ও আব্দুল গফুরের পুত্র কামাল হোসেন (২৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এস আই হাবিবুর রহমানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং সংঘর্ষের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে ১০জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন নাদামপুর গ্রামের খালেদ মিয়া (২৭), আব্দুল মতিন (৬০), গৌছ মিয়া (৬০), আব্দুল মুছাব্বির (৭০), ছালিক মিয়া (৪৬), কামরুল বক্্র (৩২), আইয়ুছ মিয়া (৫০), উসমান মিয়া (২৮), আশিক মিয়া (৫৫), আব্দুল মুহিত (৫০)। জানাযায়, নাদামপুর গ্রামের মৃত ফয়জুল্লার পুত্র ছালিক মিয়ার সাথে একই গ্রামের খতিব উল্ল্যার পুত্র আঙ্গুর মিয়ার গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয় নিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গতকাল সোমবার সকাল ৮টায় আঙ্গুর মিয়া ও তার লোকজনদের গৃহপালিত গরু মাঠে চড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে রাস্তা দিয়ে মাঠে নেয়ার পথে প্রতিপক্ষ ছালিক মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এনিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় আধঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫জন গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় আঙ্গুর মিয়া জানান, প্রতিপক্ষ ছালিক মিয়া ও তার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বিনা কারনে গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে একের পর এক ঘটনা চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মাঠে গরু চড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে মাঠে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষ ছালিক মিয়া ও তার লোকজন বাধা দেয়। পরে অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এসময় ছালিক মিয়ার লোকজনদের হামলায় গৌছ মিয়ার পুত্র কয়েছ মিয়া (১৭), মছব্বির মিয়ার পুত্র ফাহিম মিয়া (২০), আবুল কালামের পুত্র শাহিদুজ্জামান মনি (২২) আহত হয়। অপর পক্ষ ছালিক মিয়ার লোকজন জানান, আঙ্গুর মিয়া তার লোকজন নিয়ে মাটে গরু নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় বাধাসহ হামলা চালায়। এদিকে গ্রাম্য বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাদামপুর গ্রামে আঙ্গুর মিয়া ও ছালিক মিয়ার মধ্যে চলা বিরোধের কারনে এলাকার লোকজন আতংকিত রয়েছেন। প্রায় ৩মাস পূর্বে ছালিক মিয়া ও তার লোকজন আঙ্গুর মিয়াকে দিন দুপুরে হত্যার উদ্দেশ্যে হাওরের জমিতে ফেলে আঘাত করলে আঙ্গুর মিয়ার একটি হাত ভেঙ্গে যায়। এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে। গতকাল সোমবার দু-পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশ উপস্থিত হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, সংঘর্ষের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ১০জনকে আটক করা হয়েছে। এখনোও কোন পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করতে আসেনি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
খবর ৭১/ এস: