জগন্নাথপুরে আওয়ামী লীগের শেষ নির্বাচনী জনসভায় প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান

0
260

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিন সুনামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাবো। তিনি যদি পূনরায় আমাকে কোন দায়িত্ব দেন তা আমি মাথা পেতে নিব। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন দলের নির্দেশ মানতে হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশ না মানলে দল করা হবেনা। শৃংখলার উর্ধ্বে আমরা কেউ নই। যদি মনে প্রানে আওয়ামী লীগকে মানি, বাংলাদেশকে ভালোবাসি তাহলে আমাদের সংগঠন আওয়ামী লীগকে বুকে লালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন আমি কারো পথের কাঁটা নই, তোমাদেরও নই। তোমাদের কারো যদি দু:খ তাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দাও। তিনি দেশকে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সৎ মানুষকে নির্বাচিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন কোন মামলার আসামীকে ভোট দিলে দেশের ক্ষতি হবে এলাকার বদনাম হবে। আগামী যে কয়েক দিন জীবিত আছি আমি যেন এ অঞ্চলের তথা দেশের গরীব খেটে খাওয়া মানুষ পরিশ্রমী মানুষ তাদের সেবা করতে পারি। জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিশ্রম, সততা ও সাহসের ফলে বাংলাদেশের বিশাল বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে একটি পরিবর্তন সারা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকার দুটি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ¯েœহে হারিয়ে যাওয়া রানীগঞ্জ সেতুকে উদ্ধার করে আবার নির্মাণ করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে। সেতুটি এ অঞ্চলের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ভাটি অঞ্চলের সিংহ দ্বার হবে রানীগঞ্জ। শেখ হাসিনা জনপ্রিয়তায় আমাদের দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের সীমানায় পৌছে গেছেন। তাকে সরাবার জন্য তথা কথিত কিছু হতাশ রাজনীতিবিদ এবং বুদ্ধিজীবি নামে পরিচিত লোকেরা ঢাকায় বসে ষড়যন্ত্র করছেন কারন পারেনাই তারা ব্যর্থ। শেখ হাসিনা দারিদ্রতা, রোগ বালাই কমিয়েছে, কেবল মাত্র মিয়ানমার ছাড়া প্রতিবেশী সকল দেশের সাথে সমস্যার সমাধান করছে। মিয়ানমারের সঙ্গেও সমস্যা সমাধানে শেখ হাসিনা কূটনৈতিকভাবে সফল হবে এবং রোহিঙ্গারা অচিরেই তাদের দেশে ফিরে যাবেন। শেখ হাসিনার সরকার জনগনের সরকার। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি নিরক্ষরতামুক্ত শিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। শেখ হাসিনা শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশাল বিনোয়োগ করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন আমরা কেরানী তৈরীর শিক্ষা চাইনা, আমরা চাই ডাক্তার, ইঞ্জিয়ার ও কৃষিবিদ তৈরীর শিক্ষা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সংগঠন। ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সমালোচনা করে নৌকা প্রতিকের সংসদ সদস্য প্রার্থী এম.এ মান্নান বলেন স্বাধীনতার শক্রুদের প্রতীক ধানের শীষ। এ প্রতীকের কাছে গিয়ে এরা নিজেদের জাত মেরেছে। এ জাত মারার নেতৃত্ব আমরা চাইনা। আমরা মনে করি সারা বাংলায় যে জোয়ার উঠেছে এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতি যে বিশ্বাস ও আস্তা জন্মিয়েছে আগামী রোববার নির্বাচনে বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গদিতে বসাবে। তিনি বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রচারের শেষ দিনে জগন্নাথপুরে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজুর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ পৌর সভার মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম, সৈয়দ আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামীমা শাহরিয়ার, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মনাফ, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য সাবিনা সুলতানা হালিমা, জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দ সাবির মিয়া, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হরমুজ আলী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আতাউর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনহার মিয়া, সহ-সভাপতি পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক লালা মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রীর পুত্র সাদাত মান্নান, জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রশীদ ভূইয়া, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হান্নান চৌধুরী সুপি, হারুনুর রাশীদ, আওয়ামী লীগ নেতা শাহিদুল ইসলাম বকুল, যুক্তরাজ্য মিডল্যান্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকমল খান, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি লীগ নেতা অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল এম হোসাইন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা মুজিুবুর রহমান মুজিব, হাসনাত আহমদ চুনু, আবদুল ওয়াহিদ, জগন্নাথপুর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম, জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, প্রচার সম্পাদক হাজী আবদুল জব্বার, সহ-প্রচার সম্পাদক ফিরোজ আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আবদুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন ভূইয়া, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিকুল হক, কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাসিম, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের আরশ মিয়া, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব মিয়া কামালী, জগন্নাথপুর উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আফছর উদ্দিন ভূইয়া, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহ নিজামুল করিম, জগন্নাথপুর উপজেলা আঞ্জুমানে আল ইসলাহ সহ-সভাপতি মাওলানা মুহি উদ্দিন ইমরান, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব, কলকলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কান্তি দে দিপাল, পাটলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনু মোহাম্মদ মতছির, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবদুল গফুর, রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. ছদরুল ইসলাম, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনোয়ার আলী, আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কয়েছ ইসরাইল, পাইলগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুল তাহিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লালন, যুবলীগ নেতা লিটন মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছালিক আহমদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ডা. জাহিদ হাসান, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপংকর কান্তি দেব, জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফরোজ ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহ রুহেল আহমদ প্রমূখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here