মো: হুমায়ুন কবির, জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে ষাটোর্ধ বয়সী অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ রেখে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার ৬ মে রাত সোয়া ৯টায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকাকালীন সময়ে অজ্ঞাতনামা ঐ ব্যক্তিকে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত কর্মচারী হাবিবুর রহমান জানান, ঐ সময়ে আমরা অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকার ফাঁকে এক ব্যক্তি সজ্ঞাহীন অবস্থায় জরুরী বিভাগে নিয়ে এসে চিকিৎসার জন্য তাগিদ দেন। এসময় জরুরী বিভাগের বেডে চিকিৎসারত রোগীর চিকিৎসা শেষে সজ্ঞাহীন ঐ ব্যক্তির চিকিৎসা করা হবে বলার পর ঐ ব্যক্তি সজ্ঞাহীন লোকটিকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাতনামা ঐ ব্যক্তিকে জরুরী বিভাগের বেডে রাখার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত হন ঐ ব্যক্তি অনেক আগেই মারা গেছেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন সেখানে ভীড় জমান। অসংখ্য লোকজন হাসপতালের জরুরী বিভাগে জড়ো হলেও অজ্ঞাতনামা লাশটিকে কেউ সনাক্ত করতে পারেনি। লাশের মাথার পেছনে গভীর কাটা জখম দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা গেছে এবং মুখের ডান পাশে চোখের নীচে কাটা জখম রয়েছে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এস আই অঞ্জন সরকার হাসপাতালে পৌছে লাশের সুরতহাল শেষে সোমবার সুনামগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
মো: আলী আফরোজ নামে এক ব্যক্তি তার ফেইসবুক আইডিতে অজ্ঞাতনামা ঐ ব্যক্তি লাশের ছবিসহ একটি স্ট্যাটার্স লিখে পোষ্ট করেন। স্ট্যাডার্সটিতে তিনি লিখেছেন “জরুরী নিউজ আজ রাত অনুমানিক ৮:৩০ মিনিট এর সময় জগন্নাথপুর বাসস্টেশন হইতে সিলেট গামী যাতীবিহীন সিলেট জ ১১-০৭৫২ এই বাসটি উক্ত লোকটিকে জগন্নাথপুর মুচি বারী এলাকায় ধাক্কাদিয়ে আহত করে পরে জগন্নাথপুর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। কিছু সময় পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যদি কেউ লোকটিকে চিনতে পারেন তাহলে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
খবর ৭১/এস: