ছাতকে অধিকাংশ গ্রোসারী দোকান পিঁয়াজ শুন্য, বাজার মনিটরিংয়ের দাবী

0
547
ছাতকে অধিকাংশ গ্রোসারী দোকান পিঁয়াজ শুন্

খবর৭১ঃ

হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকে হঠাৎ করেই অধিকাংশ গ্রোসারী দোকান পিঁয়াজ শুন্য হয়ে পড়েছে। দোকানগুলো পিঁয়াজ শুন্য থাকায় ক্রেতারা পিঁয়াজ পাওয়া না পাওয়ার দোলাচলে ভোগছেন। জেল-জরিমানার ভয়ে অনেক ব্যবসায়ী বাজারে খুচরা পিঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।

গতকাল রোববার শহরের বিভিন্ন গ্রোসারী দোকানে ঘুরে পিঁয়াজ শুন্যের দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে। আবার হাতে গোনা কয়েকটি দোকানে চড়া মূল্যে পিঁয়াজ বিক্রি করতেও দেখা গেছে। শনিবার পিঁয়াজের লুকোচুরি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পর বিরোধি মন্তব্য করে যাচ্ছেন। পিঁয়াজ বাজার শুন্য হওয়ার কারন হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ৪৫ টাকা থেকে ৬০ টাকার অধিক মূল্যে পিয়াঁজ বিক্রি করা হলে জেলা-জরিমানা হবে। এমন ষ্ট্যাটাস ফেইসবুকের বিভিন্ন আইডি থেকে ভাইরাল করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অধিক মূল্যে পিঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক মোটা অংকের জরিমানা আদায়ও করা হয়েছে। ফেইসবুকের এসব ষ্ট্যাটাস দেখে তারা ভীত হয়ে পড়েছেন। ব্যবসায়ীদের দাবী আড়ৎ থেকে ক্রয়কৃত পাইকারী মূল্যের চেয়ে সামান্য মুনাফা করে তারা বাজারে পিঁয়াজ বিক্রি করছেন।

তারা পাইকারী ক্রয়ের রিসিটও সব সময় হাতের কাছে রেখে পিঁয়াজ বিক্রি করছেন। কোথাও ৪৫ থেকে ৬০ টাকায় পিঁয়াজ ক্রয় করা যাচ্ছে না। তাই জেল-জরিমানা এড়াতে তারা আপাতত পিঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। এ ব্যাপারে একাধিক ক্রেতা ব্যবসায়ীদের দিকে আঙ্গুল তুলে জানান, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে দেশে সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। আরো অধিক মূল্যে পিঁয়াজ বিক্রি করার লোভে স্থানীয়ভাবেও সিন্ডিকেট তৈরী করে ব্যবসায়ীরা পিঁয়াজ লুকিয়ে রেখে দোকান শুন্য করে রেখেছেন।

ফলে ক্রেতা সাধারন পিঁয়াজ কিনতে দোকানে-দোকানে ঘুরছে। এদিকে শনিবার যে পিঁয়াজ ১১০ ও ১২০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল, সেই পিঁয়াজ-ই কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ১৪০ ও ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার দুপুরে মধ্যবাজার এক গ্রোসারী দোকানে ১৭০ টাকা কেজিতে পিঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকানে পিঁয়াজ না থাকায় ক্রেতারা ওই দোকানে ভিড় করে উচ্চ মুল্যেই পিঁয়াজ ক্রয় করছেন।

অনিয়ন্ত্রিত পিঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে আনতে দ্রুত ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবী করেছেন এখানের ক্রেতা সাধারন। এ ব্যাপারে শহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাপস শীল জানান, বাজার মনিটরিং করে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here