মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর)ঃ যশোরের চৌগাছা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক দেবাশিষ মিশ্র জয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী চৌগাছা আদালত, যশোরের ১৪৩/৪৪৭/৩৭৯/৫০৬(খ)১০৯ দন্ড বিধির ধারায় মামলাটি করা হয়, মামলা নং সিআর ২১/১৯। যবর দখল ও লুটপাটের অভিযোগ এনে মামলাটি করেন উপজেলার মুক্তদাহ গ্রামের মৃত গোরাই মন্ডলের ছেলে আলী হোসেন। মামলায় একই এলাকার রতন কুমার মিশ্রের ছেলে রানা মিশ্র, কালীপদ মিশ্রের ছেলে রতন কুমার মিশ্র ও গণেশ চন্দ্র মিশ্র, পাঁচনামনা গ্রামের ফতুল্লাহের ছেলে নূর মোহাম্মদ, বিশ্বাসপাড়া আনোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাত ১শ জনকে আসামী করে চলতি মাসের ২১ জানুয়ারী মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার বিবারনে জানা গেছে, বাদি আলী হোসেন বিগত ২০০০ সাল হইতে বাংলাদেশ সরকারের নিকট হইতে পাতিবিলা মৌজায় ৯.৬ একর জলাকারের পদ্মবিলা নামক বিল লিজ নিয়ে মাছ চাষা করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট মামলার প্রধান আসামী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিষ মিশ্র জয়সহ উল্লেখিত আসামীরা জোর পূর্বক আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছে লুট করে জলাকার দখল করে নেয়। আমরা বাধা দিলে আসামীরা আগ্নে অস্ত্র, রামদা, গাছিদা, লোহার রড দিয়ে তাড়া করে। প্রাণ ভয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে রক্ষা পাই। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সে সময়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেনি। দখলদাররা এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিষ মিশ্র জয় বলেন, প্রকৃতপক্ষে ওই বিল বাদি আলী হোসেনের ইজারাকৃত সম্পত্তি নই। এটি শরিফুল নামের একজন ব্যক্তির ইজারার সম্পত্তি। তার সাথে যৌথ ভাবে আমার গ্রামের লোকজন মাছ চাষ করে আসছে। আমি নিজে মাছচাষের সাথে সম্পৃক্ত নই। সামনে নির্বাচন তাই আমাকে হেয় করতেই একটি মহল এমন ধরনের একটি বানোয়াট মামলা করছে বলে তিনি মনে করেন।
খবর৭১/ইঃ