চৌগাছার পীর বলুহ দেওয়ান দাখিল মাদ্রাসা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল

0
378

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছার পীর বলুহ দেওয়ান দাখিল মাদ্রাসার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে একটি মহল গভীর যড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ওই মহলটি নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পাশাপাশি গনমাধ্যম কর্মীদেরও দ্বারস্থ হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে চৌগাছা রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম রবি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সংবাদের সাথে বাস্তবতার তেমন কোন মিল নেই। অভিযোগকারী সোলাইমান হোসেন উক্ত প্রতিষ্ঠানে এক সময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। গত ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। এবার মনোনায়ন ফরম ক্রয় করতে ব্যর্থ হয়ে কমিটি যেন না হয় এবং মাদ্রাসার সুনাম যাতে নষ্ট হয় সেই পরিকল্পনা নিয়ে তিনি মাঠে নেমেছেন। বর্তমান ইউপি সদস্য গ্রামের কৃতি সন্তান মনিরুল ইসলাম মিলন ও তার ভাই শিমুল হোসেন তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এই দুই সহোদরের দুইটি সন্তানকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অত্র প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারি ইসমোতারা খাতুন সুপারকে না জানিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করেন। যারা এখন ১ম ও ২য় শ্রেণিতে পড়ছে। কমিটি সদস্য হওয়ার জন্য মিলন ও শিমুল কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি এবং তারা যে ভোটার হয়েছেন এ খবরও তারা জানেন না। এমনকি নির্বাচন করার জন্য তারা মনোনায়ন নেওয়ার চেষ্টাও করেননি। মিলন ও শিমুলের রাজনীতিতে ঈর্ষানীত হয়ে এবং বিগত ইউপি নির্বাচনে মিলনের নিকট পরাজিত হয়ে সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেম্বর সোলাইমান হোসেন বেশামাল হয়ে পড়েছেন। তিনি এই দুই সহোদরের বর্তমান কর্মকান্ডকে সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন প্রকার অসুস্থ্ মতামত ও মিথ্যা বানোয়াট তথ্য এলাকায় প্রচারে করছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমি মাদ্রাসার আগামী দিনের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কমিটির উপস্থিতিতে সভা করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন ফরম ৫ হাজার, ভোটার তালিকা ১ হাজার ও মসজিদের জন্য ১শ টাকা, মোট ৬ হাজার ১শ টাকা ধার্য করেছি। যার রেজুলেশন কপি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং ও অফিসার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকারের নিকট জমা দিয়েছি। মাদ্রাসার আগামী দিনের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সকল নিয়ম কানুন মেনেই কাজ করেছি। তার পরও গ্রামের সন্তান সাবেক মেম্বার ও সাবেক সভাপতি সোলাইমান হোসেন নানা ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনিরুল ইসলাম মিলন একজন জনপ্রতিনিধি, সে আমার গ্রামের সন্তান তাই এখানে এসেছি। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মাদ্রাসার উন্নয়নে মনোনয়ন ফরমের জন্য এই টাকা ধার্য্ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় মাদ্রাসা সুপার মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here