খবর৭১:বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো চীনে দিনদিনই বাড়ছে নারী বৈমানিকের সংখ্যা। বৈষম্য ছাপিয়ে পুরুষ বৈমানিকদের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দেশটির নারী বৈমানিকরা। বিমান ভ্রমণের চাহিদা এবং পাইলট সংকট থাকায় নারী বৈমানিকদের কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে চীনের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি। চায়না আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন অনেক নারী বৈমানিক।
হ্যানের বৈমানিক হওয়ার স্বপ্নটা ২০০৮ সালের। যেসময় তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তখন তার প্রতিদ্বন্দী ছিলেন অন্তত ৪শ’ জন। সাংহাই ভিত্তিক স্প্রিং এয়ারলাইন্স হ্যানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু তাকেই নির্বাচন করেছেন বিমান পরিচালনার প্রশিক্ষণের জন্য। বর্তমানে তিনি চীনের অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী বিমানের পাইলট। দৈনিক ১শ’ ৮০ জন যাত্রী নিয়ে চীনের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেন হ্যান। যাত্রা পথটা খুব সহজ না হলেও এখন দিনদিনই বিমান পরিচালনায় বাড়ছে নারীদের সংখ্যা। হ্যান সিউয়ান বলেন, ‘বর্তমানে চীনে নারী বৈমানিকের সংখ্যা ১ দশমিক ৩ শতাংশ। যেখানে পুরুষ বৈমানিক ৫৫ হাজারের ওপরে। বৈমানিক পুরুষ হতে হবে, এমন ধ্যান-ধারণা থেকে এয়ারলাইন্সগুলোর বের হতে সময় লাগলেও বর্তমানে দক্ষ বৈমানিক সংকট আর বিমানে ভ্রমণকারীর সংখ্যা বাড়ায় এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিগুলো নিয়োগ দিচ্ছে নারী বৈমানিক।’ চতুর্থ প্রজন্মের যাত্রী ও সামরিক বিমান নিয়ে চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ঝুহাই শহরে চলা ১২তম চায়না এয়ারশো’তে অংশ নিয়েছে বিশ্বের ৪৩ টি দেশের বিমানখাত সংশ্লিষ্ট ৭শ’ ৭০ জন। প্রদর্শনী চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি দুই বছর পর পর আয়োজন করা হয় এ প্রদর্শনীর।
খবর৭১/জি