খবর৭১ঃচাকরির খোঁজে ঢাকায় এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। সোমবার সকালে ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে গেছে কে বা কারা। এ সময় তার শরীরে ছিল গেঞ্জি ও চাদর। গুরুতর অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। ওই তরুণীর বয়স ২৪ থেকে ২৫ বছর।
ঢামেক হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী চিকিৎসক বিলকিস বেগম জানান, মেয়েটির যৌনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাকে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায়, ওই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, ওই তরুণী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসার পর তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া জানান, ভুক্তভোগী ওই মেয়েকে সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাত চার ব্যক্তি ঢামেকের সামনে ফেলে রেখে যায় বলে জানতে পেরেছি। মেয়েটি জানিয়েছে তার বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ। বিয়ের পরে একটি সন্তান হওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মেয়েটি জানিয়েছে, চাকরির খোঁজে রোববার লঞ্চে করে সে সদরঘাট আসে। পরে গুলিস্তানে তার সৎবোনের বাসায় ওঠে। সেখানে তার সৎবোনের সহযোগিতায় চার-পাঁচজন সারা রাত তাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষকদের একজন তাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে বিবস্ত্র অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে যায়। ওই মেয়েটি চাকরির জন্য সৎবোনের বাসায় আসে। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে মনে হয়নি সে মানসিক রোগী।
এএসআই বাবুল মিয়া আরো জানান, বর্তমানে শাহবাগ ও চকবাজার থানা পুলিশের টিম ঢামেকে আছে। ধর্ষণের ঘটনাস্থল কোথায় সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা এমন ঘটনার তথ্য পেয়েছি। ভুক্তভোগী ঢামেক হাসপাতালে রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ওই মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে গেছে। তবে কে ফেলে রেখে গেছে ভুক্তভোগী ওই নারী সেটি বলতে পারছে না। বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে বলেও জানান তিনি।
খবর৭১/ইঃ