চলন্ত বাস থেকে ছাত্রীকে ফেলে দেয়ায় সড়কে শিক্ষার্থীরা

0
358

খবর৭১ঃপরিবহন শ্রমিক দ্বারা শিক্ষার্থীকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় ছাত্রী নির্যাতনের প্রতিবাদে সাভারে ফের রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা।

সোমবার সকালে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসের সামনে থেকে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে ঘটনার জন্য দায়ী নিলাচল পরিবহনের ৪টি বাস আটক করে রাখে ক্যাম্পাসে।

আশুলিয়া থানার ওসি রেজাউর রহমান সোমবার বিকালে বলেন, এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নয়, তাই এ ঘটনায় কোনো মামলা নেয়া হয়নি। তবে শিক্ষার্থীরা নিলাচল পরিবহনের হেলপার ও কন্ট্রাকটরের বিচারের দাবিতে রোববার মানববন্ধন করে এবং পরিবহনের ৪টি বাস আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ছাত্রীটি চিকিৎসার খরচ পরিবহন মালিকের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আম্মার ইবনে ওবায়েদ বলেন, গত শুক্রবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আসমা মিতু বাস থেকে নামতে চাইলে কম ভাড়া দেয়ার কারণে বাসের হেলপার ও চালক বাস না থামিয়ে বসের গতি কমিয়ে তাকে বাস থেকে নামানো চেষ্টা করে। কিন্তু ছাত্রী আপত্তি করলে তাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, এ সময় সে মহাসড়কে পড়ে গেলে গুরুতর আহত হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রাজধানীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তার বাম পা ভেঙে গেছে।

তিনি বলেন, তাদের সহপাঠী ঢাকা থেকে নয়ারহাট পর্যন্ত নিয়মিত ভাড়া ৫০ টাকা দিয়ে উঠে কিন্তু সে ক্যাম্পাসের সামনে নামতে চাইলে তার কাছে আরও ৪০ টাকা ভাড়া চাওয়া হয়। এ নিয়ে কিছুক্ষণ বাগ্বিতণ্ডা হলে হেলপার ছাত্রীকে বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।

তিনি বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় কোনো মামলা নেয়নি। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র আশিক বিল্লাহ একটি অভিযোগ নিয়ে গেলে তা জিডি হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জানায়, পুলিশ দায়ীদের আটক না করে বাস মালিকদের পক্ষ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছে। তারা বলেন, দায়ী বাস ও তার চালক ও হেলপারকে ধরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আটক বাস ৪টি ছাড়া হবে না।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ডাবলু সোমবার বিকালে মোবাইল ফোনে বলেন, ৪টি গাড়ি ছাত্ররা আটক করে রেখেছে। পুলিশ দায়ী পরিবহনের এইচ আর কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করার চেষ্টা করছে। আপাতত ছাত্রীর চিকিৎসা বাবদ খরচ দেবে বলে পরিবহনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here