খবর৭১ঃ সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনেও খুলনা মডেলে নির্বাচন হয়েছে, যা ছিল নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সুজন আয়োজিত ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের তারা এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
তিনি বলেন, খুলনা মডেলের কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠ ছাড়া করা, বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া, নির্বাচনের দিন জোর জবরদস্তি করা এবং নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার ভূমিকা গাজীপুরেও পালন করতে দেখা গেছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ব্যাপক নির্বাচনি প্রস্তুতিও তার জয়ের পেছনে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। কেননা আগে থেকেই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাপক নির্বাচনি প্রস্তুতি ছিল। একজন তরুণ প্রার্থী হিসেবে সবগুলো এলাকা চষে বেরিয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাচনের আগে, বিশেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রচারণার সময় বেশিরভাগ এলাকায় বিএনপির কর্মী স্বল্পতা এবং প্রচারণার ক্ষেত্রে ব্যাপক ঘাটতি দেখা গেছে।
সুজনের পক্ষ বলা হয়, ‘হঠাৎ করে আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে রোজার আগে এক মাসের বেশি সময়ের জন্য নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ইফতার অনুষ্ঠানের নামে প্রার্থীরা বা তাদের পরে লোকজন বিরাট অংকের অর্থ ব্যয় করে। যার লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ধরনের টাকার খেলা বিত্তবান প্রার্থীদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত সুবিধা সৃষ্টি করেছিল। অন্যদিকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল। যেহেতু বিগত পাঁচ বছরে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচিত গাজীপুরের মেয়র বিভিন্নভাবে মামলা, গ্রেফতার, বরখাস্ত এবং জেল জুলুমের শিকার হয়েছিলেন। তাই গাজীপুরবাসী উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলেন। তাই ভোটারদের সামনে অঘোষিত কিছু সুস্পষ্ট বার্তা ছিল যে উন্নয়ন চাইলে সরকারি দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেন প্রমুখ।