গণবিরোধ সরকারের কাছে জনকল্যাণমূলক বাজেটের প্রত্যাশা নেই: রিজভী

0
253

খবর৭১: বাজেট ঘোষণার আগে এ প্রসঙ্গে বলা ঠিক হবে না এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেন, তবে গণ বিরোধ সরকারের কাছে জন কল্যাণমুলক বাজেট পাওয়া এ প্রত্যাশা কেউ করতে পারে না। গণ বিরোধী একটা সরকার সে জনসম্পৃক্ত, জনকল্যাণমুলক একটা বাজেট দেবে এটা ভাববার কোনো কারণ নেই। তারপরও আমরা দেখি আগামীকাল আগে বাজেট পেশ হোক। তারপর বাজেট বিশ্লেষণ করে তারপর বলবো।

মঙ্গলবার দুুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাবনা নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানের কয়েকটি লাইন তুলে ধরেন। বলেন, “কেউ কখনো খুঁজে কী পায় স্বপনলোকের চাবি”, এই স্বপ্নলোকের চাবি আছে অর্থমন্ত্রীর হাতে। তাই এই ধরণের উদ্ভট কথাবার্তা তিনি বলেন।

ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা। বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অর্থ হচ্ছে শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন একতরফা করতে গ্যারান্টি চাচ্ছেন ভারতের কাছ থেকে, এটাই একমাত্র প্রতিদান আশা করেন ভারতের কাছ থেকে, অন্য কিছু নয়।

তিনি বলেন, ওই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট করে বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে নিজেদের উন্নত দেশে উত্তরণ ঘটাতে শেখ হাসিনার স্বপ্ন বা দৃশ্যকল্প বাস্তবায়নে ভারত তাকে পূর্ণ সমর্থন দেবে। অতএব শেখ হাসিনার শান্তিনিকেতন সফর মহিমামন্ডিত, এক অভূতপূর্ব প্রতিদানের কাব্যিক আলেখ্য, ভোট ছাড়া দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা পেলেন কী পাশর্^বর্তী দেশ থেকে ?

রিজভী বলেন, ভারত তাদের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি জলাঞ্জলি দিয়ে শুধুমাত্র জনসমর্থনহীন একটি সরকারকে টেকানোর জন্য বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকারকে অবজ্ঞা করা যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের সামিল। ভারতকে উপলব্ধি করতে হবে যে, তারা যদি বাংলাদেশের জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনাকে ঠেকাতে ভ্রান্তনীতি গ্রহণ করে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে অনধিকার হস্তক্ষেপ করে তাতে বাংলাদেশের জনগণের মনে ভারতের গণতান্ত্রিক ভাবমর্যাদা ক্ষুন্নই হবে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হিসেবেই জনগণের কাছে বিবেচিত হবে।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের গণতন্ত্র এখন সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, অর্থনীতিও যথেষ্ট শক্তিশালী।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই মুখপাত্র।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আমি বলব এগিয়ে যাচ্ছে তবে তা পিছনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা দেশে সড়ক-মহাসড়ক এখন ছোট ছোট খালে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন শুধু সাইনবোর্ড আর বিলবোর্ডে শোভা পায়। দেশে সড়ক-মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়ক মিলে ৮৫ হাজার কিলোমিটার সড়কে বেহাল দশা বিরাজ করছে। সড়কের খানাখন্দ আর দুর্ভোগের আশংকায় লাখ লাখ মানুষ ঈদে বাড়ি যেতে পারবে কিনা চিন্তিত। তারা বিকল্পভাবে বাড়ি যেতে ট্রেনের টিকিটের পিছনে ছুটছে, সেখানেও পাচ্ছে না কাঙ্খিত টিকিট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে দূর্ঘটনা এবং প্রতিদিন গড়ে ১৬ থেকে ২০জন লোক সড়কে নিহত হচ্ছেন। সরকারের বেপরোয়া লুটপাটের নীতির কারনেই সড়ক-মহাসড়কের দূর্দশা কাটছে না, ঈদের প্রাক্কালে ঘরে ফিরতে চরম দুর্গতির জন্য এই সরকারের প্রতি ধিক্কার জানাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here