খাশোগির লাশ সরিয়ে ফেলার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় তুর্কি কর্মকর্তার হাতে

0
277

খবর৭১:সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। এখনো সন্ধান মেলেনি খাশোগির মৃতদেহের।

এদিকে সৌদি আরব তাকে হত্যার কথা স্বীকার করলেও তার মৃতদেহ কোথায় সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি। খাশোগিকে নির্যাতনের পর শিরশ্ছেদ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৌদি আরবের এক কর্মকর্তা।
শনিবার সৌদি আরব স্বীকার করে যে, কনস্যুলেটে তর্ক-বিতর্ক থেকে মারামারিতে খাশোগি মারা গেছেন। তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তাদের ধারণা, খাশোগির লাশ টুকরো টুকরো করা হয়েছে।

সৌদি এক কর্মকর্তা বলেন, সাংবাদিক খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ একটি কম্বলে মুড়িয়ে ফেলা হয়। পরে লাশটি সরিয়ে ফেলার জন্য স্থানীয় এক তুর্কি কর্মচারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়। লাশ বেলগ্রেড বনের কাছাকাছি কোথাও ফেলা হতে পারেও বলে জানিয়েছেন তিনি।

সৌদি সেই কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটনে পাড়ি জমানো সৌদি রাজপরিবারের সাবেক এ উপদেষ্টাকে রিয়াদে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল সরকার। তার ভাষ্য, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বিভাগের ১৫ সদস্যের দলকে ইস্তাম্বুলে পাঠান সৌদির গোয়েন্দা উপ-প্রধান আহমেদ আসিরি।

একটাই উদ্দেশ্য, খাশোগির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করা।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে খাশোগিকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে এ দলের প্রতি স্থায়ী আদেশ জারি ছিল। এ আদেশ বলে তারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ১৫ সদস্যের ওই দল গঠন করেন আসিরি।

পরিকল্পনা করা হয়, ওই দল ইস্তাম্বুলের বাইরে একটি বাড়িতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খাশোগিকে নিরাপদে আটকে রাখবে। যদি দেশে ফিরতে না চান তাহলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। সৌদির ওই কর্মকর্তা বলেন, শুরুতেই সব কিছু ভুল পথে পরিচালিত হতে থাকে।

একপর্যায়ে এ কর্মকর্তারা আদেশ লঙ্ঘন করে সহিংস হয়ে উঠেন। খাশোগিকে কনস্যাল জেনারেলের কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে মাহের মুত্রেব নামের এক কর্মকর্তা তাকে সৌদি ফেরার আহ্বান জানান। খাশোগি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

এরপর খাশোগিকে জোর করা শুরু করলে খাশোগিও চিৎকার শুরু করেন। ফলে তারা মুখে কাপড় ঢুকিয়ে চিৎকার থামানোর চেষ্টা করে খাশোগির। এতে শ্বাসরোধে মারা যান খাশোগি- এমনটাই দাবি সৌদি আরবের সেই কর্মকর্তার।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here