খবর ৭১: বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিশ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে শুরু হয়েছে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি। বুধবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অনশন কর্মসূচী শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
কর্মসূচি সফল করতে বুধবার সকাল ১০ টার আগেই নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এরপর আসেন বিএনপি ও জোটের সিনিয়র নেতারা। ১০ টা বাজার সাথে সাথে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় বিএনপি ও বিশ দলের অনশন।
এদিকে বিএনপির এ প্রতীকী অনশনকে ঘিরে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রেসক্লাব ও আশেপাশের এলাকায় রয়েছে অন্যদিনের তুলনায় অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়াও আছে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
অনশনে উপস্থিত আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন। বিশ দলের শরীক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির যুগ্ম সাধারান সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল করিম, ন্যাপ ভাসানির মহাসচিব গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
এছাড়াও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।
পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদসহ বিভিন্ন পেশা-শ্রেনির নেতা-কর্মীরা এতে সমবেত হওয়া শুরু করেছে। এ অনশনে ব্যাপক সংখ্যা মহিলা কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন।
বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রয়েছে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। প্রেসক্লাব এলাকায় রাখা হয়েছে এপিসি ও প্রিজনভ্যান।
বিএনপি ও বিশ দলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে অবস্থান করছেন। এসব ব্যানারে রয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান।