কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা ও তার চিকিৎসা

0
520

খবর ৭১ঃ প্রত্যেক মানুষই তার জীবনের কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। কোমর ব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়। উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো-মাস্কিউলোস্ক্যলেটাল ব্যথা, ফাইব্রোমাইএলজিয়া, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, স্পন্ডাইলো ডিসকাইটিস, পট’স ডিজিজ, স্পন্ডাইলোসিস, এনকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস ইত্যাদি।

কোমর ব্যথার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ-প্রলাপসড লাম্বার ইন্টার ভার্টিব্রাল ডিস্ক বা পিএলআইডি। এতে কোমরের নরম ডিস্ক, যা দুটি কশেরুকার মধ্যে থাকে, তা বের হয়ে বাইরে চলে আসে। ডিস্কের বাইরের দিকে এনুলাস ফাইব্রোসাস নামে শক্ত আবরণ থাকে, যা আঘাতে বা ক্ষয় হয়ে ছিঁড়ে গিয়ে ভেতরের নরম জেলির মতো অংশ, যা নিউক্লিয়াস পাল্পোসাস নামে পরিচিত, বাইরে বের হয়ে আসে। সেই বের হওয়া অংশ নার্ভের রুটে চাপ দেয়।

ফলে কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং সেই ব্যথা পায়ে রেডিয়েশন হয়। এর নাম সায়াটিক পেইন। কমন পিএলআইডি হয় খ৪/৫ স্পেসে। তাছাড়া খ৫/ঝ১ ও হয়ে থাকে। রোগের লক্ষণ হলো-কোমর ব্যথা, যা কোমরের পেছন দিয়ে ঊরুর পিছন দিয়ে, কাফ মাসেলের পেছন দিয়ে পায়ের বুড়ো আঙুল বা ছোট আঙুলে চলে আসে। কাশি দিলে বা কোথ দিয়ে প্রস্রাব-পায়খানা করা সামনের দিকে ঝুঁকে নামাজ পড়লে বা কোনো জিনিস তুলতে গেলে এ ব্যথা বাড়ে। অনেক সময় ডিক্স প্রলাপস বেশি হলে প্রস্রাব-পায়খানা, সেক্সের নার্ভ ড্যামেজড হয়ে যায় বা রোগীর পা প্যারালাইসিস হয়।

এ অবস্থার নাম ক্যানডেন ইকুইন সিনড্রোম, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপারেশন করতে হয়। নইলে রোগের উন্নতি হয় না। কোমর ব্যথার ৯০ শতাংশ বেড রেস্ট, মেডিসিন, কোমরের ব্যায়াম এবং লাইফস্টাইল মডিফিকেশন, যেমন-শক্ত বিছানায় ঘুমানো, নুয়ে কাজ, ভারী কাজ না করা, কোমরের ব্যায়াম, পাতলা বালিশে ঘুমানো ইত্যাদিতে ভালো হয়। শতকরা ১০ ভাগ রোগীর পিএলআইডির জন্য অপারেশন করতে হয়।

কোমর যেহেতু সেনসিটিভ জায়গা, তাই কোমর অপারেশন ছোট সেন্টার বা ইনফেকটেড অপারেশন থিয়েটারে না করাই ভালো। উন্নত মানের অপারেশন থিয়েটারে মাইক্রোস্কোপের সাহায্য নিউরো সার্জনের মাধ্যমে মাইক্রো-সার্জারি করলে কোমর ব্যথা প্রায় সব ক্ষেত্রে ভালো হয়। উন্নত মানের মাইক্রো সার্জারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় করা সম্ভব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here