আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কেউ আওয়ামীলীগের সদস্য হতে পারবে না। ত্যাগী নেতাদের বাদ দিবেন না। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। ক্ষমতা চিরদিন থাকে না। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা পারিষদ অডিটরিয়াম মাঠে এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সেতু মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটা মানুষের হাতে মোবাইল ফোন পৌছে দিয়েছে সরকার। দেশের মানুষ আজ শান্তিতে রয়েছে। মঙ্গা শব্দটি এখন জাদুঘরে রয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি, মাতৃত্ব ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহিলাদের ঘরে রেখে উন্নয়ন সম্ভভব নয় জেনে শেখ হাসিনা সরকার মহিলাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। নারীরা আজ সচিব, ডিসি, এসপি হয়েছেন। তাই আগামী নির্বাচনে মহিলারাই প্রধান হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লালমনিরহাটের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিলবোর্ডে ছবি দিলে নেতা হওয়া যায় না। জনগনকে খুশি করেন। যার আচরনে জনগন খুশি হবে, তিনিই নেতা হবেন। ত্যাগী নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন করেন। অসুস্থ্য কর্মী ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন। বাসায় বসে থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান করবেন না। ঘরে ঘরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতির কথা বলে সদস্য সংগ্রহ করুন। সুযোগ পেলে শীতের অতিথি পাখিরা নৌকায় ভিড়বে, সুযোগ শেষে আবার চলে যাবে। বড় বড় ছবি ছাপিয়ে প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই। প্রতিযোগিতা থাকা ভাল। প্রার্থী হন কিন্তু ছিট নষ্ট করবেন না। দলের নেত্রীর হাতে সকলের গোপন তথ্য রয়েছে। যারা জনগনের ভালবাসা পাচ্ছেন এবং জয়লাভের পথে। সব কিছু যাচাই বাচাই করে মনোনায়ন দেয়া হবে।
বিএনপিকে নালিশ পার্টি উল্লেখ করে আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়া ঈদের আগে আন্দোলনের ডাক দেন আর আন্দোলনকে ভ্যানিটি ব্যাগে ভরে লন্ডনে চলে যান। কারন তারা জানে জনগন তাদের প্রত্যাখান করেছে। হাওয়া ভবনের লুটপাটের কথা বাংলার মানুষ ভুলে নেই। তাদের সময় দেশ রক্ত গঙ্গায় ভেসেছে। দেশের মানুষ জানে তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় এলে আবারো দেশ রক্তগঙ্গায় পরিনত হবে।
লালমনিরহাটের উন্নয়নে ওবায়দুল কাদের বলেন, খুব তাড়াতাড়ি রংপুর থেকে লালমনিরহাট বুড়িমারী পর্যন্ত চার লাইনের কাজ শুরু হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে কথা বলে তিস্তার পানি সমবন্টন নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে তাও সমাধান করা হবে। এছাড়াও আগামীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
জেলা আয়ামীলীগের সভাপতি লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি। জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী নুরজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু সালেহ্ মোহাম্মদ সাঈদ দুলাল, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী ও স্থানীয় নেতা কর্মীরা।
খবর ৭১/ইঃ