খবর ৭১:ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের অবস্থানকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বের হয়। এ সময় ছাত্রলীগের সম্মেলনপ্রত্যাশী অংশের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন, সহসম্পাদক ইমরান জমদ্দার ও জহুরুল হক হলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী তার কাছে সম্মেলন নিয়ে কথা বলতে যায়। সোহাগ তাদের সঙ্গে কথা না বলতে চাইলে তারা সোহাগের দিকে তেড়ে যায় এবং বিভিন্ন কটূক্তি করে। এ সময় পাশে থাকা সোহাগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে শুরুতে বাগ্বিতণ্ডা এবং পরবর্তীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের বিষয়ে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা ছাত্রলীগ সভাপতির কাছে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। আমরা তাকে বলি যে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোটা সংস্কার নিয়ে পোস্ট দিচ্ছে? আপনি নিশ্চুপ কেন? তারেক জিয়া (তারেক রহমান) আপনাকে কত টাকা দিয়েছে? এ কথা বললে, সোহাগ আমার দিকে তেড়ে আসে। পরে তার নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে সাগর হোসেন, মিশু, মিশকাত, আল আমিনসহ ৫ নেতাকর্মী আতহ হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে এই ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন হল থেকে সোহাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক সমর্থক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে আসে। এ সময় তারা ‘সোহাগ ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, কিছু বহিষ্কৃত ও সাবেক নেতা এসেছিল। যারা মার্ডার মামলার আসামি। তারা ঝামেলা করতে এসেছিল। আমি তাদের মিটিয়ে দেই।
খবর ৭১/ ই: