কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউটার্ন করছে : ফখরুল

0
272

খবর ৭১: কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, কোটা এবং বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো রাজনীতি করছি না। যেটা সত্য আমরা সেটা জনগণের কাছে রাজনৈতিক দল হিসেবে তুলে ধরছি।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) কতৃক আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বেকার যুবকদের ন্যায়সঙ্গত কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউটার্ন করেছেন। তিনি রেগেমেগে সংসদে বললেন, কোনো কোটাই থাকবে না। এখন বলছেন, হাইকোর্টের রায়ের বাইরে যাওয়া যাবে না। আদালত কী বলেছে? যা বলেছে কোটা নিয়ে সেটা রায় নয়, পর্যবেক্ষণ। অর্থাৎ যেটা আপনার সুবিধা যেটাতে আদালতকে ব্যবহার করছেন, আর যেটায় অসুবিধা সেখানে আদালতকে মানছেন না।

তিনি বলেন, সরকারের অভিষ্ঠ লক্ষ্য হলো আবারেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একটি একরতফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফেরা। এর মাধ্যমে তারা আবারও একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত করতে চায় ভিন্ন মোড়কে।

বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি নোংরা রাজনীতি করছে- ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই ধরনের কথা বলে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও

রাজনৈতিক মামলায় রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য, আসন্ন নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখার জন্য তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। তাকে তার নূন্যতম আইনি সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হচ্চে। মূল মামলায় জামিন পেলেও এখন একটার পর একটা মিথ্যা মামলা সামনে এনে তারা মুক্তিকে বিলম্বিত করা হচ্ছে। তারা তাকে ততদিন পর্যন্ত কারাগারে রাখতে চায় যতক্ষণ তাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্য পূরণ না হয়।

সরকারের চরিত্র, লক্ষ্য সবার কাছে পরিষ্কার এমন দাবি করে ফখরুল বলেন, দুর্নীতি কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টে সোনা রাখার পর সেটা বদলে ধাতু জাতীয় জিনিস রাখা হয়েছে। অলঙ্কারগুলো বদলে সেখানে নকল জিনিস রাখা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হ্যাকিং করে টাকা লুট করা হলো। যার প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করতে পারেনি। অর্থমন্ত্রী বলছেন, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের হাত অনেক লম্বা। এই লম্বা হাত হয় তাহলে তাদের হাতে রেখে আপনি চলে যান না কেন? আপনি বারবার এই ধরনের লোকদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন, আশ্রয় দিচ্ছেন এবং সরকারের ইচ্ছা পূরণ করছেন। আর বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্পূর্ণ ফোকলা করে দিচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here