আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধুমাইটারী সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে দেয়া কু-প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় অমানবিক নির্যাতন করেছে রানা মিয়া নামে এক বখাটে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার বিকালে উপজেলার পাঁচগাছী শান্তিরাম গ্রামের মসলিম আলীর মেয়ে ঐ ছাত্রী প্রতিদিনের ন্যায় প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। এরআগে থেকেই রাস্তার পাশে প্রতিবেশী নয়া মিয়ার বাড়ির নিকট ওঁৎ পেতে থাকা একই গ্রামের লুৎফর রহমানের পুত্র বখাটে রানা ঐ ছাত্রীকে হঠাৎ মারতে থাকে। একপর্যায়ে নয়া মিয়ার ঘরের ভিতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে অমানবিক নির্যাতন করে। এসময় নয়া মিয়া ও তার স্ত্রী মিনারা বেগম বাড়িতে না থাকায় প্রতিবেশীরা এসে মুমূর্ষুমানাবস্থায় উদ্ধার করে ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এব্যাপারে মসলিম আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, রানা মিয়া একটা চিহ্নিত বখাটে। এ ঘটনাটিই তার প্রথম নয়। এমন ঘটনা অনেকবার ঘটিয়েছে। বখাটে রানা বাড়িতে না থাকায় তার ছোট ভাই মামাসহ পরিবারের অন্যানরা বলেন- ঘটনার দিন থেকে রানা পলাতক রয়েছে। নির্যাতীত ছাত্রী ও তার পারিবারিক সুত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে কু-প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় প্রভাবশালী ও বখাটে রানা এ ঘটনা ঘটায়। এখন বখাটে রানা ও তার পক্ষ থেকে উচ্ছেদ করে দেয়াসহ নানান প্রকারের কঠোর হুমকি দিচ্ছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে উঠে আসা হিসেবে এখানে জনবল কম থাকায় রানা ও তার লোকজনের অব্যাহত কঠোর হুমকীতে কোথাও কোন মামলা বা অভিযোগ না করার জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়া খুবই দুঃস্কর হয়ে পড়েছে। ফলে পরিবার-পরিবজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অসহায় মসলিম আলীর পরিবার। ঘটনাস্থল, বাড়ির মালিক নয়া মিয়া ও তার স্ত্রীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ছামিউল ইসলামকে অবগত করে বিচার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু, তিনি এখনো কিছুই করতে পারেননি। কয়েক দফা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ইউপি চেয়ারম্যারকে পাওয়া যায়নি। এমনকি, তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার- এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু বিষয়টি গুরুতর। তাই; তাদেরকে থানায় মামলা করার কথা বলা হয়েছে।
খবর৭১/এস: