কুয়াকাটায় ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক সিন্ডিকেট পর্যটকদের একা পেলেই কেড়ে নেয় সর্বস্ব

0
256

রাকিব হাসান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃমাদারিপুর জেলার বোরহানগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদ কলাপাড়ায় মামা ইলিয়াস সিকদারের বাসায় বেড়াতে আসে কয়েকদিন আগে। খালাতো ভাই, মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানকে নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর, বুধবার বিকেলে কুয়াকাটায় বেড়াতে যায়। সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম দিকে বসার অস্থায়ী ছাতার পাশে দাঁড়িয়ে কুয়াকাটার নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করছিল। হঠাৎ দুই ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক এসে পাশে গাড়ি থামায়। অনুরোধ করে লেবুর (লেম্বুর) চরে ঘুরতে যাওয়ার। অনেক বলে কয়ে ভাড়া নির্ধারণ না করেই দুই মোটরসাইকেল চালক দুই জনকে তাদের মোটরসাইকেলে তোলে। প্রায় আধা কিমি দুরত্বে দুই চালক দুইজনকে নিয়ে গাড়ি চালাতে থাকে। এরপরে যতোসব।

নাহিদকে প্রশ্ন হোন্ডাচালকের (মোটরসাইকেল চালক)- আগে ঘুরতে গেছে কি না। দুই-চার দশ হাজার টাকা আনছ কি না। ব্রিফ করা হয় পুলিশ জিজ্ঞেস করলে যেন বলা হয় কিমিতে কুড়ি টাকা ভাড়ার চুক্তিতে তারা এসেছে। লেম্বুর চরে যাওয়া আসায় সর্বোচ্চ দুরত্ব ১০ কিলোমিটার। যেখানে ভাড়া হওয়ার কথা সর্বোচ্চ দুই শ’ টাকা। এক ধরনের জবরদস্তি শুরু হয় সেখান থেকে ফেরার পরে। পর্যটক নেই। এমন এক স্পটে হোন্ডা থামায়। শুন্য পয়েন্ট থেকে পুবে। পানির লেভেল এর কাছে। এরপর দৃশ্যমান, হোন্ডাচালকদ্বয়ের আসল চেহারা। টাকা বাইর কর। তোরা নাম। তোগো কাছে কত টাকা আছে। সব টাকা রাইখ্যা দেলে কী করবি। কী মোবাইল ব্যবহার কর। হুজুর শালায় ক্যাডা। আরও কত কী। এক পর্যায়ে ২৬ কিলোমিটার ঘোরার কথা বলে এক হাজার ৬০ টাকা দিতে বলে। ক্ষুদে দুই পর্যটক হবাক বনে যায়। সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে সঙ্গে থাকা ৯০০ টাকা দিতে বাধ্য হয়। এরপরও ওই ভাড়াটে হোন্ডা চালকরা ওদের পকেট সার্চ করতে থাকে। কোন কিছু না বলতে থ্রেড করা হয়। কোনমতে পকেট খরচের সর্বস্ব খুইয়ে নিজেকে রক্ষা করে সটকে পড়ে এরা দুইজনে।

মাত্র ২০০ টাকার ভাড়ার জায়গায় এভাবে ছিনতাই করে নেয়া হলো ৯০০ টাকা। নাহিদের মন্তব্য ভাল মোবাইলসহ আরও বেশি টাকা-পয়সা তাঁদের কাছে থাকলে রেখে দেয়া হতো। কারন যাওয়ার সময় নরম সুরে ওরা (হোন্ডাচালকরা) তাঁদেরকে ভাই সম্বোধন করে কতো টাকা নিয়ে গেছে তা জানতে চেয়েছিল। এইভাবে ভাড়াটে হোন্ডা চালকদের একটি চক্র প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী করে বেড়াচ্ছে। পর্যটকদের হোন্ডায় তুলে নিয়ে তারপর সব হাতিয়ে নেয়। এচক্রটি এখন কুয়াকাটায় আসা পর্যটকের কাছে আতঙ্কে পরিনত হয়েছে। ওই হোন্ডা চালকের নাম পরিচয় কিছুই জানাতে পারেনি নাহিদ। তবে সেলফির কথা বলে একটি ছুবি তুলেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, তাৎক্ষণিক অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া যেত। তারপরও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি এও জানান, যেখানেই ভ্রমন করুক না কেন। পর্যটকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ভাড়া ছয় শ’ টাকা। এর বেশি নেয়ার সুযোগ নেই।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here