কিভাবে জানেন মামলার রায় কি হবে?: ফখরুলকে কাদের

0
367

খবর৭১: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা দেয়ার বিষয়টি সরকার আগেই ঠিক করে রেখেছে- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কিভাবে জানলেন এই মামলার রায় কি হবে? এটা আমার প্রশ্ন। এই মামলায় আদালত খালেদা জিয়াকে সাজা দেবে, এ রকম নিশ্চয়তা তাকে কে দিল? সেটা তিনি আগে বাগে কি করে জানলেন? আদালত তাকে (খালেদা) নির্দোষও করতে পারেন আবার সাজাও দিতে পারেন। এটা আদালতের বিষয়। এখানে সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই।’

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর খামরবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৮ সমাপনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সরকার এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট ষোড়শ সংশোধণীর রায় কি দিয়েছে সবাই জানে। এটা কি সরকারের পক্ষে? এখন এই মামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বার বার বলার চেষ্টা করছেন যেন বেগম জিয়াকে এই সরকার মামলাটা করে হেনস্তা করছে। তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সড়িয়ে রাখার চেষ্টা করছে। বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই মামলাটি কখন হয়েছে? দুদকের করা এই মামলা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। মামলা তো এই সরকার দেয়নি। মামলা দিয়েছে তার সৃষ্টি করা লোকেরা।’

দুদকের মামলা সরকার কিভাবে হস্তক্ষেপ করছে এমন প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, ‘মামলা তার নিজস্ব গতিতে চলছে। বেগম জিয়া নির্দোষ হলে আমাদের তো কোন অসুবিধা নেই। অথবা তিনি সাজা পেলে আমরা কিভাবে রক্ষা করব? শেখ হাসিনার সরকারের এখানে কি? তাহলে কি আদালত রায় দিতে পারবে না? আদালত এদেশে বিচার করতে পারবে না? আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভ করবে? প্রতিবাদ করবে?’

খালেদা জিয়াকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়না মন্তব্য করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা ২০১৩-১৪ সালের পেট্রোল বোমাকে ভয় পাই। ভয় পায় দেশের মানুষ। তখন পেট্রোল বোমার আঘাতে কত নির্দোষ মানুষের প্রাণের প্রদীপ নিবে গেছে। কত স্কুল শিক্ষক, কত ছাত্র, বাসের ড্রাইভার, সিএনজি চালককে পুড়িয়ে মেরেছে। গাছ কেটে ফেলেছে, রাস্তা কেটে ফেলেছে। ট্রেনের লাইন উঠিয়ে দিয়েছে। বেগম জিয়ার এই রাজনীতিটাকে ভয় পায়। বেগম জিয়াকে কেন ভয় পাবো? তাদের নেতিবাচক রাজনীতিকে ভয় পায়। বেগম জিয়াকে ভয় পাই না। তার বোমা-সন্ত্রাসকে আমরা ভয় পাই। মনে নেই চট্টগ্রামের এক নেতাকে মোবাইল ফোনে কি কি নির্দেশ দিয়েছিলেন? সন্ত্রাস করার জন্য। সব কিছু পুড়িয়ে ফেলার জন্য। সেটা অডিও আছে। সব জায়গায় আছে। সবাই জানে। আমরা এটাকে ভয় পাই। বেগম জিয়াকে ভয় পাই না।’

খালেদা জিয়া ইতিবাচক রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগের কোন অসুবিধা নেই উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘কেন আমরা তাকে বাধা দিব? নির্বাচন হবে। বিএনপি অংশ নিবে। প্রতিদ্বন্দ্বীতাবিহীন নির্বাচন আমরা চাইনা। বিএনপির মত বড় দল নির্বাচনে আসুক আমরা এটাই চাই। আমরা একটা অংশগ্রহণমূ4লক যোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা বেগম জিয়াকে সরিয়ে রাখব আর তারা আগুন তান্ডব চালাবে। এর আগে তারা একটা নির্বাচনকে বয়কট করতে গিয়ে কতগুলো অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে, স্কুল জ্বালিয়ে দিয়েছে, কতগুলো মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে? বলুন। এই নারকীয় তান্ডবকে আমরা ভয় পাই। বেগম জিয়াকে না।’

আদালতের রায় মনমত না হলে আবার সন্ত্রাস শুরু করলে বাংলাদেশের সচেতন জনগণ এবার প্রতিরোধ করবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ওবায়দুল কাদের।

মৎস্যও প্রাণী সম্পদ সচিব মাকসুদুর হাসান খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মীর শওকত আলী বাদশা, আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম প্রমুখ।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here