খবর৭১:আর্থিক কারচুপি ও জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক সাহায্যের অভিযোগে The Financial Action Task Force (FATF)-এর কালো তালিকাভুক্ত হয় পাকিস্তান। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানকে আর্থিক ঋণ দিতে রাজি হল চীন। পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চলেছে তারা।
চীনের কাছে ইতিমধ্যেই বিপুল ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান। ২০১২ সালের জুন মাসে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্কে (SBP) ৫০০ মিলিয়ন ডলার পাঠায় চীন। ২০১৮-র জুন মাসেই সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। সেখানেও পাকিস্তানকে কোনও চাপ দেয়নি চীন। বরং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েই টাকা শোধের সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে ফের আর্থিক অনুদান দিল চীন।
গত মাসেই The Financial Action Task Force (FATF) তালিকাভুক্ত হয়েছে পাকিস্তান। আর্থিক কারচুপি,জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক সাহায্যের মত বিষয়গুলি থেকে আটকাতে আন্তর্জাতিক স্তরে গঠিত হয় Financial Action Task Force। যে দেশগুলি আন্তর্জাতিক নিয়মের তোয়াক্কা না করে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক সাহায্য করছে তাদের কালো তালিকায় আনছে Financial Action Task Force। সেই তালিকায় পাকিস্তান আছে ৯ নম্বরে।
পাকিস্তানের সমস্ত আর্থিক লেনদেনের ওপরও নজর রাখছে FATF। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে FATF-র নজরে পড়বে চীনও। তা জেনেই পাকিস্তানের পাশে বেইজিং। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহের ভিত্তিতেই ২ দেশের এই পারস্পরিক চুক্তি।
বিদেশি মুদ্রা হাতে রাখতে চীন ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাকিস্তানে গচ্ছিত রাখছে। তার ওপর আরও ঋণ দিচ্ছে।
ইতিমধ্যেই, চীনের থেকে মোট ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধার নিয়েছে পাকিস্তান। গতবছর জানুয়ারি মাসে ৫০০ মার্কিন ডলার দিয়ে কিছু টাকা শোধও করে। কিন্তু এই বছর পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কের বার্ষিক সঞ্চয়ের পরিমাণ মারাত্মক হারে কমে যায়। ৪৭৯ মিলিয়ন ডলার থেকে কমে বার্ষিক সঞ্চয় দাঁড়ায় ১০.৩২ বিলিয়ন ডলার।
এই অবস্থায় চীনের ৫০০ মিলিয়ন ডলার পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্কে থাকা, ১০০ কোটি ডলার আর্থিক অনুদান পাওয়া পাকিস্তানের কাছেই স্বস্তির। অবশ্য, প্রাপ্য টাকার অধিকাংশটাই জঙ্গি সংগঠনগুলির খাতে বরাদ্দ কি না, সে বিষয়ে অবগত নয় বেইজিং। ২ দেশের ওপর নজর রাখছে FATF।
খবর৭১/জি: