ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১২ রানের বিশাল লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

0
234

খবর ৭১: সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা হলো না বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে চলতি বছর মার্চেই ২১৫ রানের ইতিহাস গড়েছিল টাইগাররা। এবার সেটাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবে রেকর্ড গড়তে না পারলেও নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত দুই শ’ রানের গণ্ডি পার হলো সাকিব আল হাসানের দল।

ঢাকার মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে পস হেরেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পায় তারা। ব্যাট করতে নেমে লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ২১১ রান করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ জয় করতে হলে ২১২ রান করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

৩৪ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন লিটন দাস। তার দেখানো ঝড়ো গতিকে অনুসরণ করেন মাহমুদউল্লাহ এবং সাকিব। দু’জন গড়ে তোলেন ৯১ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। মাত্র ৭ ওভারে এই জুটি গড়েন তারা দু’জন। শেষ ৫ ওভারে সাকিব আর মাহমুদউল্লাহ মিলে তোলেন ৭১ রান।

২৬ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব আল হাসান এবং ২১ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ দুই ওভারে মাত্র ১৬ রান নিতে সক্ষম হয়েছেন সাকিব আর রিয়াদ। আগের তিন ওভারের তুলনায় ঠিকমত রান নিতে পারলে বাংলাদেশের স্কোর আরও অনেক বেড়ে যেতো- এটা বলাই বাহুল্য।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের সঙ্গে শুরুটা ভালোই ছিল তামিমের। কিন্তু নিজে খুব সংগ্রাম করতে শুরু করেন তিনি। ব্যাটে বলে ঠিক মত হচ্ছিল না। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। মাত্র একটি বাউন্ডারির মার ছিল তার ব্যাটে।

আগের ম্যাচেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ইনজুরি থেকে ফেরার পর ওয়ানডে সিরিজে টানা দুটি হাফ সেঞ্চুরি করে তামিম ইকবাল বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ছন্দহারা হননি তিনি। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে কোনোভাবেই নিজেকে চেনাতে পারছেন না। প্রথম ম্যাচে ৫ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে আর ১০ রান বেশি করতে পেরেছেন।

দলীয় ৪২ রানের মাথায় আউট হন তামিম ইকবাল। এরপর সৌম্য সরকারকে নিয়ে দারুণ একটি জুটি গড়ে তোলের লিটন কুমার দাস। দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৬৮ রানের ঝড়ো জুটি। ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। তার ব্যাটে দিশেহারা হতে থাকে ক্যরিবীয় বোলাররা।

লিটনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মারমুখি হতে থাকেন সৌম্য সরকারও। তিনিও হাঁকালেন বাউন্ডারি এবং ছক্কা। তার এই ছক্কা হাঁকানো এবং বাউন্ডারিতে ২২ বলেই উঠে যায় ৩২ রান। কিন্তু দুর্ভাগ্য সৌম্যর। শেলডন কটরেলের বলে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের অতিমানবীয় এক ক্যাচে ফিরে যেতে হলো তাকে।

১১০ রানের মাথায় পড়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেট। এরপর একই ওভারের শেষ বলে উইকেট দিলেন লিটন দাসও। কটরেলে একটি আনপ্লেয়েবল বল মোকাবেলা করতে হয়েছে লিটনকে। অফ এবং লেগ স্ট্যাম্প এক সঙ্গে উপড়ে দিয়েছে ওই বলটি। ৩৪ বলে ৬০ রান করে বিদায় নেন তিনি। ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কায়।

লিটক দাস বিদায় নিলেও আশা ছিল মুশফিক হাল ধরবেন। কিন্তু ডিপ মিডউইকেটে ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের হাতে ধরা পড়তে হলো তাকে। বোলার ছিলেন ওশান থমাস। ১ উইকেটে ১২০ রান থেকে বাংলাদেশ হঠাৎই পরিণত হলো ৪ উইকেটে ১২০ রান।

দ্রুত তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল বুঝি লিটন আর সৌম্যর ঝড়ো ব্যাটিং বিফলে যাবে। বড় স্কোর করতে পারবে না বাংলাদেশ? কিন্তু সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে বিশাল স্কোরই গড়ে তোলে বাংলাদেশ।

মাত্র ৪২ বল (৭ ওভার) মোকাবেলা করে ৯১ রানের জুটি গড়ে তোলেন সাকিব আর মাহমুদউল্লাহ। শেষ ৫ ওভারে তোলেন তারা ৭১ রান। ২৬ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় সাকিব অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে এবং ২১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here