খবর৭১;;সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের ‘দোসর’ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদই সংসদ বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছেন। কারণ এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে হাত খরচা পান।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
রিজভী বলেন, “আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন-‘বিদেশিদের কাছে দেন-দরবার করে লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে নির্বাচন করা বিশ্বের কোথাও নজির নেই।’ নিজেদের জনসমর্থনহীন ক্ষমতা ধরে রাখতে গোপন আঁতাতের জন্য আপনারাই সুইজারল্যান্ড থেকে সিঙ্গাপুর দৌড়ঝাঁপ করছেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে নির্বাচনের নজির আপনারাই সৃষ্টি করেছেন, এটি কী ভুলে গেছেন? ওই সময়ে ১৭৩ দিন হরতাল দিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার নজির আপনারাই স্থাপন করেছিলেন। গান পাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে কী অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন।”
এ সময় ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে সংসদ ভেঙে না দিয়ে নির্বাচন হয়? এই নজির কি আছে পৃথিীবতে কোথাও ? আপনারা এবং আপনাদের দোসর এরশাদই জাতীয় সংসদ বহাল রাখার কথা বলছেন। এরশাদ বলবেন এজন্য যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে হাত খরচা পান। আর আপনি বলছেন চাকুরী রক্ষার্থে। পুলিশী প্রহরায় গণতন্ত্রকে জিম্মি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের তাল-বেতালের কথাবার্তায় মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না, বরং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বৈরাচার তকমা পেয়ে এখন আপনাদের মুখে গণতন্ত্র ও জনমতের কথায় অবলা প্রাণীও হেসে ওঠে। ’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন, জালভোট ও কলঙ্কিত নির্বাচনের স্বীকৃতি হলো বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই শুধু নয়, তাদের সমর্থকরাও স্বৈরাচারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে লজ্জায় ডুবে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-আবারও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার নীল নকশা কোনোদিনই বাস্তবায়িত হতে দেবে না জনগণ।’
‘দেশের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রেখে এখন এক গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে নির্বাচনী ঢেউ তোলার অপচেষ্টা চলছে। কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট নির্বাচনী ঢেউয়ে গা ভাসাবে না বিএনপি ও জনগণ। অবশ্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
এ সময় রিজভী দাবি করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিশ্চিত করে বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। আর সেই নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। আর তা না হলে আন্তর্জাতিক স্বৈরাচারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই অবৈধ সরকারের পতন হবে ভয়াবহ। বার বার ঘুঘু ধান খেয়ে যেতে পারবে না। জালভোট, রাতের গভীর ব্যালট বাক্স ভর্তি করার কলঙ্কিত নির্বাচন আর এদেশে অনুষ্ঠিত হতে পারবে না। জনরোষ এবার চরম প্রতিশোধের শক্তিতে সরকারের যে কোনো নীল নকশাকে প্রতিহত করবে।’
খবর৭১/এস:
