খবর ৭১ঃ সেই ভয়ঙ্কর দৈত্যাকার সর্বগ্রাসী রাক্ষসটাকে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল! দেখা গেল, তার সর্বনাশা খিদে মেটাতে মহাকাশে কী ভাবে বিশাল বিশাল নক্ষত্রদের হাড়-মাংস-অস্থি-মজ্জা গিলে নিচ্ছে। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোনও খাবারই ফেলে রাখছে না সেই রাক্ষস। বহু চেষ্টাচরিত্র করে দু’বছর ধরে তার ছবি তোলা হয়েছে। যে ছবি প্রকাশ করা হল বুধবার। দুটি ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলা হলেও এদিন প্রকাশ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি আলোকবর্ষ দূরে ‘এম-৮৭’ গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা ব্ল্যাক হোলটির।
সেই ভয়ঙ্কর রাক্ষসটা রয়েছে এই ব্রহ্মাণ্ডে আমাদের ঠিকানা মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির ঠিক মাঝখানে। আমাদের থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। রাক্ষসটার নাম- ‘স্যাজিটেরিয়াস এ*’। যে আসলে একটি দৈত্যাকার সর্বগ্রাসী ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর। যাকে দেখার আগ্রহ আমাদের প্রায় এক শতাব্দী ধরেই!
মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির ঠিক মাঝখানে থাকা সেই ভয়ঙ্কর রাক্ষসটার ওজন কত জানেন? আমাদের সূর্যের ভর যতটা তার ৪০ লক্ষ গুণ! আর তার চেহারাটা? বৃত্তাকার সেই দানবের শুধু ব্যাসার্ধটাই হল ১ কোটি ২০ লক্ষ কিলোমিটার লম্বা!
এমন ভয়ঙ্কর দৈত্যাকার রাক্ষসের ছবি তোলার মতো অসাধ্যসাধনটা করেছে ইভেন্ট হরাইজ্ন টেলিস্কোপ (ইএইচটি)। যা বানানো হয় পৃথিবীর ৮টি মহাদেশে বসানো অত্যন্ত শক্তিশালী ৮টি রেডিও টেলিস্কোপের নেটওয়ার্ক দিয়ে। কাজ শুরু করেছিল ২০১৭-য়।