উন্নত দেশে যেতে ২০ বছরের রূপরেখা অনুমোদন

0
987
উন্নত দেশে যেতে ২০ বছরের রূপরেখা অনুমোদন

খবর৭১ঃ উন্নত দেশে যেতে ২০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। অনুমোদন পেয়েছে ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’। ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হবে। এটি আগামী ২০ বছরের কর্মকাণ্ডের একটি রূপরেখা। এটি তৈরি করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। এতে ২০৪১ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এই বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। এই ডকুমেন্টকে বাজেট বলা যাবে না। এটা একটি রূপরেখা । ২০ বছরের লম্বা বিষয়। আমরা কী করতে চাই সে সব জায়গার উপরে আলো ফেলেছি। দারিদ্র্য দূর করা আমাদের লক্ষ। আমাদের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটাকে আরও সুসংহত করা। আর আইসিটি ক্ষেত্রে বিশ্বমানের গড়ে তোলা। এসব বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে পরিকল্পনায়।

মন্ত্রী বলেন, আগামী এক মাসের ভেতরে এই বিষয়ে একটি মতামত নেয়া হয়ে। চূড়ান্ত খসড়া এটা হলেও চূড়ান্ত খসড়া-১, চূড়ান্ত খসড়া-২ হতে পারে।

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম বলেন, আগামী এক মাসের ভেতরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মতামত দেবে। তিনি বলেন, আগামী ২০ বছর পর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে কোথায় যাবে এর একটি রূপরেখা এটি। হয়তো আরও কিছু সংযোজন হবে। প্রধানমন্ত্রী সম্পদের পূনর্বন্টনের বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন। তিনি এ বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে দেশের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি (২০১০-২০২১) তৈরি করা হয়। এটি বাস্তবায়ন এনইসিতে করা হয় ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১০-১৫) ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০১৬-২০) মাধ্যমে। ফলে ২০০৯ সালের ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি থেকে বেড়ে এখন ৮ শতাংশের ঘর অতিক্রম করেছে।

নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনার প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০৩১ সালে দাঁড়াবে ৯ শতাংশে। সেটি আবার বাড়তে বাড়তে ২০৪১ সালে গিয়ে হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। সেই সঙ্গে চরম দারিদ্র্যের হার ২০২০ সালে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে কমে ২০৩১ সালে পৌঁছাবে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশে । সেটি পরিকল্পনার শেষ বছর ২০৪১ সালে কমে দাঁড়াবে শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশে। অন্যদিকে মাঝারি দারিদ্র্য বর্তমান বছরের ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ থেকে কমে ২০৩১ সালে দাঁড়াবে ৭ দশমিক শূন্য শতাংশে। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শেষে ২০৪১ সালে এ হার হবে ৩ শতাংশের নিচে। এছাড়া মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ুষ্কাল বেড়ে দাঁড়াবে ৮০ বছরে। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের হিসেবে গড় আয় ৭২ দশমিক তিন বছর থেকে ২০৩১ সালে বেড়ে হবে ৭৫ বছর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here