উচ্চাঙ্গ সংগীত আয়ত্ব করলে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব —মঈদুল ইসলাম

0
397

খবর৭১ঃদুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম বলেছেন, উচ্চাঙ্গ সংগীত আয়ত্বে আনার মাধ্যমে শিল্পী তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। উচ্চাঙ্গ সংগীতকে পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ব করার জন্য কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় করতে হয়। ছোট্ট সোনামনিদের সুপ্ত প্রতিভার যথাযথ বিকাশ ঘটাতে পারলে, তারা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
সিলেট ললিতকলা একাডেমী-এর উদ্যোগে সনদপত্র বিতরণ, উচ্চাঙ্গ সংগীতের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়া তিনি আরো বলেন, সমাজে একা একা গঠনমুলক কিছু করা যায় না, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে করতে হয়। আজকের এই অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের প্রাণবন্ত পরিবেশনা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক রেজিস্ট্রার্ড প্রতিষ্ঠান একাডেমীর সভাপতি হিমাংশু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, যন্ত্র, তবলা ও চারুকারু বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র একাডেমীর অধ্যক্ষ বিপ্রদাস ভট্টাচার্যের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা-এর পরিচালক ড. মির শাহ আলম। জয়শ্রী দেব জয়ার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু একাডেমীর শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূঁইয়া, লোকসংগীত শিল্পী জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, ভারতীয় হাইকমিশন-এর প্রতিনিধি সঞ্জীব কুমার, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা। অনুষ্ঠানের শেষে একাডমীর ১৭৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে সনদপত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে একক উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশন করেন রুহিত দত্ত, নাবিহা আহমেদ, ফারহিন নাওয়ার রিশতা, অর্নিশা দাশ পর্না, তাসফিয়া কন্তা পিয়াতা, শতাব্দী দাস অন্না এবং যন্ত্রসংগীতে সহায়ক ছিলেন অলক দে, প্রিয়তুশ দে।। সংগীত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন একাডেমীর অধ্যক্ষ বিপ্রদাস ভট্টাচার্য। স্বাগত বক্তব্যে একাডেমীর অধ্যক্ষ বিপ্রদাস ভট্টাচার্য বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাডেমী শিশুদেরকে সংগীত সাধনার মাধ্যমে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। মানবতার কল্যাণে তারা যাতে কাজ করে, সংগীত সাধনার মাধ্যমে তারা সেটাই শিখবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা-এর পরিচালক ড. মি বলেন, সংগীত সাধনার মাধ্যমে শিশুকিশোরদের মনে সুরের একটি সুন্দর জগৎ তৈরী হয়। উপযুক্ত পরিচর্যার মাধ্যমে সেই জগতকে সমৃদ্ধ করতে হবে। ললিতকলা একাডেমী সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। তাদের প্রাণবন্ত পরিবেশনা প্রশংসনীয়, হৃদয়কে আকর্ষণ করে। সভাপতির বক্তব্যে ললিতকলা একাডেমীর সভাপতি হিমাংশু বিশ্বাস বলেন, একাডেমী তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিশুদেরকে উচ্চাঙ্গ সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, যন্ত্র, তবলা ও চারুকারু বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। সংগীত সাধনার পাশাপাশি তারা যাতে উদার ও প্রশস্ত মনের মানুষ হতে পারে, সেজন্য একাডেমী নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একাডেমী একদিন মহীরুহে পরিণত হবে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here