ইয়াবা শহর ছেড়ে এখন গ্রামাঞ্চলে, পুলিশের অভিযান অব্যাহত -গ্রেফতার হচ্ছে প্রতিদিন

0
260

 

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:ইয়াবা শহর ছেড়ে এখন গ্রামাঞ্চলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত গ্রেফতার হচ্ছে প্রতিদিন চিত্রা, মধুমতি, কাজলা ও নবগঙ্গা বিধৌত ঐতিহ্যবাহী ও শতাব্দীর প্রাচীন জনপদ হল নড়াইল জেলা। শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতির চারণক্ষেত্র নড়াইল জেলা তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। নড়াইলের সেই রূপ আজ আর নেই। রূপ-সৌন্দর্য হারিয়ে শ্রীহীন জনপদে পরিনত হয়ে পড়েছে শতাব্দীর স্বাক্ষী। নড়াইলের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে। ইয়াবা ভয়াল আগ্রাসী থাবায় সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময়ী নড়াইল ‘প্রায় বিপন্ন’ জনপদে পরিনত হয়ে পড়েছে। সর্বত্র ইয়াবার ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই গ্রামাঞ্চলে পাওয়া যাচ্ছে সর্বনাশা ইয়াবা সহজলভ্যতার কারণে বিক্রেতার পাশাপাশি ইয়াবা সেবীর সংখ্যাও বাড়ছে। এখানকার ইয়াবা সেবীদের কাছে বিশেষ করে ‘ইয়াবা’ এখন হট কেকের মতো। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চলছে ইয়াবা বেচাকেনা নির্মূলে, নড়াইলে কর্মরত পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি) নেতৃত্বে বিশেষ ইয়াবা বিরোধী অভিযান চলমান অব্যাহত আছে। সহজ লভ্যতা, অপেক্ষাকৃত কম দাম এবং পুলিশী ঝুঁকি কম থাকায় আশেপাশে এলাকায় মাদক পাচারকারী ও সেবনকারীরা ‘ইয়াবা বড়ি’র নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফোনের মাধ্যমে ‘সিন্ডিকেট’ করে ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। ইয়াবায় আশেপাশে এলাকা। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, এসব মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, নেশা । বর্তমানে এখানে পক্ষান্তরে একটি ইয়াবা বড়ির দাম ১শ’ থেকে দেড়শ টাকা। উন্নত মানের ইয়াবা’র দাম ৩শ টাকা থেকে ৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কম হওয়ার কারনে ইয়াবা বিক্রেতাদের পাশাপাশি সেবনকারীরা সর্বনাশা ইয়াবা’র নেশায় ঝুঁকে পড়েছে। নড়াইলের সড়ক পথ ও নৌপথ দিয়ে ইয়াবা প্রবেশ করে থাকে। সীমান্ত শহর যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ইয়াবা পাচারকারী চক্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজস্ব লোকজন দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ইয়াবা পাচারকারীরা মাদক পাচারের জন্য পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের বেশি ব্যবহার করছে। এরা ‘ক্যারিয়ার’ হিসেবে পরিচিত। এ সব ক্যারিয়ারদের অধিকাংশ স্বামী পরিত্যক্ত ও তালাক প্রাপ্ত মহিলা। আছে কলেজের শিক্ষার্থীরাও। স্থানীয় থানা পুলিশ মাঝে মধ্যে ইয়াবা সহ সেবনকারীদের আটক করলেও মুল পাচারকারীরা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। যে কারণে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না মাদক বেচাকেনা। বিশেষ করে সর্বনাশা ইয়াবার ব্যাপক বিস্তৃৃতির কারনে এখানকার সচেতন অভিভাবক মহল তাদের সন্তানদের নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন। কিছু শিক্ষার্থী ও যুকবদের সঙ্গে কথা বলে ইয়াবা বিক্রির সত্যতা নিশ্চিত করা গেছে। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে নড়াইলের ইয়াবা । জানা যায়, শিক্ষার্থী ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে একটি জাতির মূল চালিকাশক্তি। ইয়াবার পাশ্ব¦প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক বলেন, নিয়মিত ইয়াবা সেবনে রক্তচাপ বৃদ্ধি, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, শুধুমাত্র পুলিশের পক্ষে ইয়াবা বেচাকেনা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়। নড়াইলে কর্মরত পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি) নড়াইলকে ইয়াবা জঙ্গী ও সন্ত্রাস, নির্মূলে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইয়াবা উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ইয়াবা বেচাকেনা বন্ধে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে ।

জানা যায়, শিক্ষার্থী ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে একটি জাতির মূল চালিকাশক্তি। ইয়াবার পাশ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক বলেন, নিয়মিত ইয়াবা সেবনে রক্তচাপ বৃদ্ধি, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, শুধুমাত্র পুলিশের পক্ষে ইয়াবা বেচাকেনা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়। নড়াইলে কর্মরত পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি) নড়াইলকে ইয়াবা জঙ্গী ও সন্ত্রাস, নির্মূলে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইয়াবা উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ইয়াবা বেচাকেনা বন্ধে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে ।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here