ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বেলজিয়াম তৃতীয়

0
403

খবর ৭১ঃসেমিফাইনালে হারের দুঃখ ভুলার আগেই মাঠে নামতে হয়েছিল। দু’দলই সান্ত্বনার জয় পেতে চেয়েছিল। তবে পারল না ইংল্যান্ড। থ্রি-লায়নসদের ২-০ গোলে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয় হলো বেলজিয়াম।বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটিই বেলজিয়ানদের সর্বোচ্চ সাফল্য। এর আগে সেরা ছিল চতুর্থ স্থান। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে চতুর্থ হয় তারা।

তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে খেলতে নামে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম। ঘড়ির কাঁটা ৫ মিনিট ঘোরার আগেই গোল পেয়ে যায় রেড ডেভিলরা। এতে ইংলিশ ডিফেন্সের ভুলই ছিল মূখ্য। নাসের শ্যাডলির জন্য অনেক বেশি জায়গা ছেড়ে দেয় তারা। তার বাড়ানো বলে শেষ মুহূর্তে পা লাগিয়ে নিশানাভেদ করেন থমাস মিউনিয়ার।

পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের গতি বাড়ায় ইংল্যান্ড। সমতায়ও ফিরতে পারত থ্রি-লায়নসরা। ২৩ ও ২৪ মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পায় তারা। তবে তা হেলায় নষ্ট করেন রাহিম স্টার্লিং ও হ্যারি কেন।

৩৫ মিনিটে সুযোগ পায় বেলজিয়াম। তবে হাতের নাগালে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি টবি অ্যালডারউইয়ারল্ড। পরে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে খেলা এগিয়ে চললেও আর কেউই গোলমুখ খুলতে পারেনি। এতে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইংলিশদের।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল পেতে মরিয়া হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণে বেলজিয়াম শিবিরে আতঙ্ক ছড়ায় ইংলিশরা। একাধিক সুযোগও পায় তারা। তবে এদিন যেন মিসের মোহড়ায় নামেন কেনরা। ফলে স্বার্থও হাসিল হয়নি সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

ফুটবলদেবীও যেন তাদের সহায় ছিল না। না হলে ৬৮ মিনিটে নিশ্চিত গোলটি কেন পাবেন না তারা? কাইরান ট্রিপারের অ্যাসিস্ট থেকে গোলমুখে বল ঠেলে দিয়েছিলেন এরিক ডায়ার। বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবাউত কর্তোয়াও পরাস্ত হয়েছিলেন। বল যখন গোললাইন অতিক্রম করতে যাচ্ছে, ঠিক তখনই দেবদূত হয়ে তা প্রতিহত করেন অ্যালডারউইয়ারল্ড। ৭০ থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে আর সুযোগ হাতছাড়া করেন ইংলিশরা।

উল্টো ৮২ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল খেয়ে বসে ইংল্যান্ড। আরেকবার জাদু দেখান দুই মানিকজোড় ব্রুইনা-হ্যাজার্ড। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ছুটেন ব্রুনা। কয়েকজনকে কাটিয়ে তা দেন হ্যাজার্ডকে। তা থেকে ঠিকানায় বল পাঠাতে মোটেও ভুল করেননি চেলসি ফরোয়ারীড।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here