আদালত স্বাধীন না হলে মন্ত্রীরা কেন হাজিরা দিচ্ছেন?’

0
312

খবর ৭১:

সরকারের মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ পর্যায়ের বা ছাত্র সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীও এখন কারাগারে রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকের দণ্ড হয়ে গেছে, অনেকে হাজিরা দিচ্ছেন। এমনকি মন্ত্রীও আছেন হাজিরা দেওয়ার তালিকায়। অনেক এমপিও দণ্ডিত হয়েছেন। অনেক মামলার আসামিও কারাগারে আছেন। এখন আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন।
শনিবার দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুরে হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ-সিংগাইর আঞ্চলিক সড়কের উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলপকালে মন্ত্রী

ওবায়দুল কাদের এসকল কথা বলেন।

মন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আদালত স্বাধীন না হলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা কেন আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। আদালতে দুর্নীতির মামলায়ও হাজিরা দিচ্ছেন।

যদি আদালত স্বাধীন না হতো তাহলে তো খুনের মামলায় আওয়ামী লীগের এমপি কারাগারে থাকতো না। আজকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর ছেলেও কারাগারে আছে। এখানে কোনো বিচারহীনতার সংস্কৃতি নেই। আদালত স্বাধীনভাবেই আদালতের কাজ করছেন। ’
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের এক উক্তি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা আদালতে আছে। তাঁর দুর্নীতির মামলায় কী সাজা হবে তা আদালতের এখতিয়ার। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত সিদ্ধান্ত নিবে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই। আর আদালত কি রায় দিবে তা বিএনপি আগেই বলে দিচ্ছে। আদালত কি রায় দিবে তা আদালতের এখতিয়ার। বিএনপি বা ফখরুল কী করে জানলেন যে, আদালত বেগম জিয়াকে সাজা দেবে এবং সেটা পূর্ব পরিকল্পিত। তাহলে তাঁরা আদালতকে হুমকি দিচ্ছেন। বলছেন- ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে। রায় যদি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যায় তাহলে সারা দেশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে। বিএনপি সারা দেশে আন্দোলন করবে। সহিংসতায় যাবে। এ ধরণের হুমকি তারা কার বিরুদ্ধে দিচ্ছেন’?

তিনি বলেন, ‘তারা আদালতের রায়ও মানে না। যারা আদালতের বিরুদ্ধে হুমকি দিতে পারে, আমি মনে করি তাদের হাতে দেশের গণতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থা কোনোটাই নিরাপদ নয়। তাদের হাতে আইনের শাসনও নিরাপদ নয়। যারা রায়ের আগে আদালতকে হুমকি দিতে পারে তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। নির্বাচনের আগেই তারা নির্বাচনে জিততে চায়, এটা হলো এদের মানসিকতা। এখন নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগে তারা হেরে যায়। তারা যদি ২০১৩-১৪ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও সহিংসতা করতে যায় তাহলে জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে। ’

আওয়ামী লীগে কোনো অনুপ্রবেশকারী নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দল ও দেশের কাছে যে ব্যক্তি গ্রহণযোগ্য তাকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে। সংসদ নির্বাচনে তিন মাস পর পর জরিপ হচ্ছে। যে ব্যক্তি জরিপে এগিয়ে থাকবে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। ’

মন্ত্রীর সাথে এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরসহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here