আট হাজার রোহিঙ্গা ফেরতের অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ:প্রধানমন্ত্রী

0
293

খবর৭১:মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের টেকনাফ ও উখিয়ায় আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে যে আট হাজার রোহিঙ্গার নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে, তার অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আট হাজার রোহিঙ্গার ফেরত যাওয়ার অগ্রগতি জানাতে মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশ দেন। এ ছাড়া শীতকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি পাখি দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে সুযোগ সুবিধাও বাড়বে। ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে টিকিট লাগবে, তেমনটি নয়। শুধু যেখানে অতিথি পাখি বসে, সেখানে ঢুকতে টিকিট কাটার ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
গতকালের একনেক সভায় রেকর্ডসংখ্যক ২১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৯ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা।

এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে জোগান দেওয়া হবে ১৭ হাজার ৩১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৩৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক প্রকল্প সাহায্য থেকে দুই হাজার ২২৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক জোরদার করার উদ্যোগ

ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল করতে এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ‘ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প : সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ’ নামের প্রকল্পটি গতকাল একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট মহাসড়কটি এশিয়ান হাইওয়ে এবং সার্ক হাইওয়ে করিডরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান করিডর। সে জন্য ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here