অাক্কেলপুর স্টেশনের চেয়ে ট্রেন বড়, ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের উঠা-নামা

0
544

মোঃ অালী হাসান, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে রেল স্টেশনের চেয়ে ট্রেন অতিরিক্ত বড় হওয়ায় যাত্রীদেরকে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠা-নামা করতে হচ্ছে। স্টেশনের সীমানায় ট্রেন দাঁড়ালে দু’পারেই দুটি করে অতিরিক্ত ট্রেনের বগি স্টেশনের প্লাটফর্মের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। দুপারের ওই চারটি বগি থেকে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠা নামা করতে হয়। বর্তমানে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর ১৪টি কোচ বা বগি রয়েছে। আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশনের শেডের মধ্যে আটটি কোচ (বগি) থাকে। অনেক
সময় মালামাল সহ ট্রেনে উঠতে বা নামতে
গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয় যাত্রীদেরকে। সরেজমিনে জানা গেছে, আক্কেলপুর স্টেশন থেকে খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনের পোড়াদহ, ঈশ্বরদী, যশোর ও ভেড়ামারা স্টেশনের কোন আসন নেই। ফলে যাত্রীদের ট্রেনে দাঁড়িয়ে থেকে যেতে হয়। ঢাকা গামী আন্তঃনগর একতা,
নীলসাগর, দ্রতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন
সংখ্যা সীমিত থাকায় যাত্রীরা প্রায় সময়
হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। অপরদিকে
স্টেশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এক শ্রেণীর দালাল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট আগেই ক্রয় করে কালো বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রির অভিযোগ ও রয়েছে। স্টেশনের সামনে দোকান পাঠ নির্মাণ করার ফলে ভ্যান, অটোর স্ট্যান্ড সংকুচিত হওয়াই দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়ে
থাকে। ট্রেনযাত্রী নয়ন বলেন, ঢাকায় যেতে যে কোন ট্রেনের টিকেট নিতে
অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। না হলে বলে টিকেট নেই। উপায় না পেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হয়। আক্কেলপুর স্টেশনের সহকারী মাস্টার হাসিবুল হাসান বলেন স্টেশনের সীমানা বা শেড বৃদ্ধি হওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্লাটফর্মের বাইরের
কেঁচের যাত্রীদের ওঠানামা করা কষ্টকর।
প্লাটফর্মটি বৃদ্ধি হওয়ার প্রক্রিয়া হয়েছিল।
তবে অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।
স্টেশনের লাইনম্যান আবুল কাশেম বলেন,
আমাদের কোয়াটার না থাকায় বাহিরে থাকতে হয়। আমাদের থাকার কোয়ার্টারগুলো সাধারণ মানুষ দখল করেছে। ফলে রেলওয়ে কতৃপক্ষ সরকারি রাজস্ব পাচ্ছে না। কোয়ার্টারগুলো রেলওয়ের কর্মকর্তা কিংবা কোন কর্মচারী
ব্যবহার করে না। শুধু একজন পয়েন্টম্যান
কোয়াটার ব্যবহার করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here