অর্থ পাচারকারীদের সরকার ধরে না কেন, প্রশ্ন ড. কামালের

0
426
অর্থ পাচারকারীদের সরকার ধরে না কেন, প্রশ্ন ড. কামালের

খবর৭১ঃ জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। কেন পাচার হচ্ছে এতো এতো টাকা? কার বাবার সম্পত্তি তোমরা পাচার করছো? সরকার তাদের ধরে না কেন? সরকার কীভাবে এর কৈফিয়ত দেবে? তাদের বলা হয় না কেন- কোথায় থেকে তোমরা এ ক্ষমতাটা পেলে? আসলে যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে, তাদের লক্ষ্য লুটপাট করা, টাকা পাচার করা। তারা রাষ্ট্রের মালিক নয়। জনগণ এ রাষ্ট্রের মালিক।

তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার গণফোরাম আয়োজিত ‘একুশ মানে অধিকার আদায়ের অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়ীদ, সুব্রত চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জগলুল হায়দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম।
ড.কামাল হোসেন আরও বলেন, দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হচ্ছে। এটা হলো রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ডাকাতি। আমরা গ্রাম পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ডাকাতকে যেভাবে ধরি, আজকের রাষ্ট্রের ডাকাতদের সেভাবে ধরতে হবে। এরা নিজেদের চিহ্নিত করে রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবাজরা কখনও দাবি করতে পারে না তারা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হয়ে গেছে। মালিক এদেশের সবাই। দেশে গণতন্ত্র চলতে না দিয়ে সাময়িকভাবে তারা ক্ষমতাকে হাতে নিয়ে এর অপব্যবহার করে এবং দেশের অর্থ পাচার করে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব টাকা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

গণফোরাম সভাপতি বলেন, টাকা-পয়সা দিয়ে, ধর্মের দোহাই দিয়ে দেশকে বারবার বিভক্ত করার চেষ্টা হয়েছে। দেশের মানুষকে বিভক্ত করা যায়নি। নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও মৌলিক বিষয়ে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে নিজেদের প্রাপ্য অর্জন করা যায়। তাই ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে। স্বৈরশাসকগণ কখনও ঐক্যের সামনে দাঁড়াতে পারে না। তারা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের সাহস করতে পারে না। আর এটাই হলো আমাদের শক্তির উৎস। তারা মনে করে, মানুষের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি করে কায়দা করে সত্যিকার অর্থে মানুষের রায় তাদের পক্ষে নিতে পারবে। কিন্তু তারা পারেনি। তিনি আরো বলেন, জনগণের ঐক্যের শক্তিতে ভর করে আমরা স্বাধীনতা রক্ষা করেছিলাম। স্বাধীনতার আগে ও পরে বিভেদ সৃষ্টি করার কম চেষ্টা হয়নি। সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় নিয়ে, ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা সফল হয়নি। তাই আমাদের নিরাশ হবার কোনও কারণ নাই। তিনি বলেন, গত ৪৮ বছর আমরা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছি, এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের মানুষকে মালিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। এখানে কারো দয়ামায়ার কিছু নাই। এটা আমাদের প্রাপ্য অধিকার। তাই ক্ষমতার মালিককে যেভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হয় সেভাবে করতে হবে। এজন্য পাড়ায়, মহল্লায় গ্রামে-গঞ্জে এবং জাতীয় পর্যায়ে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here