প্রথমবারের মতো বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেছে বাংলাদেশ। গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঋণের আসল ও সুদ মিলে পরিশোধ করা হয়েছে ৪০৮ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। আগের বছরের তুলনায় এ ব্যয় বেড়েছে ২১ দশমিক ২১ শতাংশ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈদেশিক ঋণের মধ্যে আসল পরিশোধ হয়েছে ২৫৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার। আর সুদ পরিশোধে খরচ হয়েছে ১৪৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার। তবে ঋণ পরিশোধ বাড়লেও কমেছে বৈদেশিক ঋণ ছাড় এবং নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ ছাড় এসেছে ৮৫৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা প্রায় ১৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ কম। আর নতুন ঋণ ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি এসেছে ৮৩২ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। ফলে ঋণ পরিশোধে চাপও বাড়ছে। ইআরডি জানায়, গত দুই অর্থবছরে খাদ্য সহায়তা বাবদ অর্থ ছাড় এলেও নতুন করে কোনো সহায়তার প্রতিশ্রুতি আসেনি। সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, বিদেশি ঋণের চাপ বাড়ছে, কিন্তু নতুন ঋণ ছাড় ও প্রতিশ্রুতি কমছে। এতে ভবিষ্যতে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।