আওয়ামী লীগ টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে শত শত মানুষ গুমের অভিযোগ ওঠে। ক্ষমতার পালাবদলের পরও ফেরত না আসা ২০০ ব্যক্তির তালিকা গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছে ইউনাইটেড ফর দ্য ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সেস (ইউভিইডি) নামের একটি সংগঠন।
বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে কমিশনের কার্যালয়ে ইউভিইডির মুখ্য আহ্বায়ক মারুফ জামানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল তালিকাটি হস্তান্তর করে।
এ সময় গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্য মো. নুর খান, মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং ড. নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইউভিইডির পক্ষ থেকে গুম থেকে ফেরত না আসা ২০০ ব্যক্তির তালিকা হস্তান্তরের পাশাপাশি তাদের বর্তমান অবস্থা শনাক্তে কমিশনের সহযোগিতাও চাওয়া হয়। এছাড়া গুমের শিকার হয়েও ফিরে আসা ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার বিষয়েও কথা হয়।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিনিধি দলের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং কমিশনের পক্ষ থেকে আইনি কাঠামোর মধ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই গঠিত হয় তদন্ত কমিশন। সেই কমিশনের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গুম কমিশন ইতোমধ্যে তাদের দুটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে শেখ হাসিনার শাসনামলে ভয়াবহ গুম-খুনের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
পাঁচ সদস্যের গুম কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। ‘কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুযায়ী ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গুমের ঘটনা তদন্ত করছে এই কমিশন।