চোখের পাতা খুলেছে ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি

0
17

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি প্রথমবারের চোখের পাতা নেড়েছে। দু-একদিনের মধ্যে শিশুটির স্বাস্থ্যের আরও কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাফিজ উদ্দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

আজ সোমবার (১০ মার্চ) চিকিৎসকরা ডেপুটি প্রেস সচিবকে জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষায় ‘কমার লেবেল ৩ থেকে ৫’ এ উন্নীত হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সকালে শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে। শ্বাসরোধের অপচেষ্টার কারণে অক্সিজেন লেভেল কমে মস্তিষ্কে পানি জমেছে। যা এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল সেটি অপসারণ করা গেছে। হয়তো দু-একদিনের মধ্যে শিশুটির স্বাস্থ্যের আরও কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা।

গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে ঘটনাটি ঘটে। বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন তার মা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুরও জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান বলেও অভিযোগ আনা হয় এতে।

ঘটনার দিন অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল থেকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। শুক্রবার (৭ মার্চ) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়।

মাগুরার ওই ঘটনায় মামলার কথা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা মামলা করলে তা আমলে নেয় পুলিশ। এরইমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় ওই শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোন জামাই সজিব শেখ, দেবর রাসুল শেখ ও শাশুড়ি জায়েদা খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, মূল আসামি তার বোনের শ্বশুরকে সাত দিন এবং স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here