৬ মাস ধরে এ সরকার সময় নষ্ট করেছে। কিন্তু, আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত যৌথবাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মান্না বলেন, ৬ মাসে জনগণের জীবন-যাপনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এত বড় মানুষ যিনি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন, যিনি অর্থনীতিতে অসাধ্য সাধন করেছেন। যার জন্য জনগণের মধ্যে, জনগণের জীবনের স্বপ্ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে সারা পৃথিবী স্বীকৃত দিয়েছে তিনি বাংলাদেশের মানুষের শান্তি আনতে পারেননি।
তিনি বলেন, জিনিসের দাম বেড়েছে, নতুন করে চাকরির সুযোগ হয়নি, খুন, ডাকাতি, রাহাজানি, লুটপাট বেড়েছে।
মান্না আরও বলেন, আন্দোলনের মধ্য থেকে, রক্তদানের মধ্য থেকে স্লোগান ছিলো—নতুন বাংলাদেশ চাই। নতুন বাংলাদেশ মানে কি! অতীতের যা জরাজীর্ণ, যা গণবিরোধী, যা ঘৃণার, কষ্টদায়ক, যা আমাদের বঞ্ছনার কথা বলে সে সবকিছু বদলে সামছুর রহমানের কবিতার মত, ফুলের বাগানের মত যেখানে বাস করে শান্তি পাবেন, বুক ভরে শ্বাস নিতে পারবেন। যেখানে আমাদের চাকরির খোঁজে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে জীবন দিতে হবে না।
তিনি বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কি সেই রকম দেশ করতে পারছি। আমরা কি সেই দিকে যাচ্ছি। সবাই বলেছেন দেশ যদি সংস্কার করতে না পারি, বদলাতে না পরি তাহলে তা উন্নত দেশ হতে পারবে না। ১/১১ এর সময় ড. ইউনুসকে বলা হয়েছিল—আপনি ক্ষমতা নেন। সমারিক বাহিনী পুরো রাত তাকে বুঝিয়েছিল। কিন্তু উনি বলেছিলেন মাত্র তিন মাসে আমি ভালো কিছু করতে পারবো না। তাই দায়িত্ব নেব না। কিন্তু এইবার প্যারিসের হাসপাতালে থাকার পরও ছাত্ররা তাকে ফোন করলো আর উনি ক্ষমতা নিলেন। তারা আশা করেছে তিনি সংস্কার করবেন। এবং আমরাও যে দলেরই হই, যে মতেরই হই, ছোট-বড় সবাই তাকে অকুণ্ঠভাবে সমর্থন করেছি।
নাগরিক ঐক্যের এই সভাপতি বলেন, ৬ মাস চলে গেছে কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়েছে? প্রশাসন কি সংস্কার হয়েছে? ঘুষ ছাড়া কি কাজ হচ্ছে? এসব কিছুই বন্ধ হয়নি এখনও। আমি বলছিনা—৬ মাসে সব বদলে দেয়া যায়। কিন্তু আমি বলবো ৬ মাসে বদলাবার একটা সূত্র তো দেখতে পারবো।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলামসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।