কুতুবদিয়ায় জাহাজে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৩১ নাবিক জীবিত উদ্ধার

0
101

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বঙ্গোপসাগরে বহিঃনোঙরে এলজিপিবাহী ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় জাহাজে থাকা ৩১ জন ক্রুকে (নাবিক) জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ২টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি।
খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে যাচ্ছিল। তবে কোন দেশ থেকে এলপিজি বহন করে আনছিল তা নিশ্চিত নন। এলপিজি বহনকারী ‘সুফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজটি কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটির আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্রুদের উদ্ধার কাজ চালায় কোস্টগার্ডের ২ টি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর ৫ টি অত্যাধুনিক জাহাজ।
কোস্টগার্ডের এই গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, প্রায় ১৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর রোববার দুপুর ২টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে জাহাজটির ভিতরে পুনরায় অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি এড়াতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কাজ চালাচ্ছেন। জাহাজটিতে মোট ৩১ জন ক্রু ছিলেন । তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে। জাহাজটি কোন দেশ থেকে আসছিল এবং কী পরিমাণ এলপিজি ছিল তা জানা যায়নি।

এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি কোন ধরণের নাশকতা তা জানতে কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা খোঁজ খবর নিচ্ছে বলে জানান খন্দকার মুনিফ তকি।
এর আগে, শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার উপকূলে এ ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার পরপরই খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্রুদের উদ্ধার কাজ শুরু করে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ। উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে মেটাল শার্ক এবং চারটি অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here