আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতিবেদন

0
97

খবর৭১ঃ

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সার্বিক আয়-ব্যয়ের ঘাটতি রয়েছে, যা বেড়ে এখন ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘাটতির প্রভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদন। তবে আশার কথা, আগামী অর্থবছর থেকে এ ঘাটতি কমে আসবে।

একইসঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং সরকারের সব বৈদেশিক ঋণই ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছে আইএমএফ।

বুধবার রাতে ‘আর্থিক খাত তদারকি : ক্ষতিগ্রস্তদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সহায়তা করা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির প্রভাবে ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্যমূল্য বেড়ে গেছে। জ্বালানির দাম বাড়ার ফলে পণ্য পরিবহণ ব্যয় বেড়েছে। এতে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর পাশাপাশি স্বল্প আয়ের দেশগুলোতেও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়। একই সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রায় সহায়তা করতে সরকারি খাতের ব্যয় বাড়াতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পণ্য আমদানিতেও ব্যয় বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের আয়ের অন্যতম খাত রাজস্ব কমে গেছে। এসব মিলে সরকার ঘাটতিতে পড়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের এ ঘাটতি তুলনামূলকভাবে কম বলে উল্লেখ করেছে আইএমএফ। তবে শ্রীলংকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের বেশি।

ঘাটতির কারণে একদিকে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ঝুঁকিতে আছে, অন্যদিকে সরকার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ব্যয় করতে পারছে না। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান কমে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি সার্বিক স্থিতিপত্রে ঘাটতি ছিল মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে এ ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে জিডিপির ৫ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ ঘাটতি বেড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে।

বাংলাদেশে এটিই সর্বোচ্চ ঘাটতি জানিয়ে আগামী অর্থবছর থেকে তা কমে আসবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, আগামী অর্থবছরে এ ঘাটতি হবে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এরপর থেকে ঘাটতি আরও কমবে। ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ঘাটতি কমে দাঁড়াবে জিডিপির ৫ শতাংশ।

তবে জিডিপির হিসাবে ঘাটতি কমলেও এর আকার বাড়ার কারণে ঘাটতির পরিমাণও বেড়ে যাবে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে মাথাপিছু সরকারি খাতের ব্যয় কম। কিন্তু সার্কের অন্য দেশগুলোতে এ ব্যয় বেশি। কর জিডিপি অনুপাতেও বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো এ খাতে এগিয়ে রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার সার্বিক চ্যালেঞ্জে ঘাটতি থাকায় বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। অনেক দেশেই এ খাতে ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here