জুনেই পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখবে: কাদের

0
160
জাপার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামানোর মতো সময় নেই: কাদের

খবর৭১ঃ আগামী জুনেই পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ শেষে নেত্রীকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সামারি (সার-সংক্ষেপ) পাঠাবো। তিনি যখন সময় দেবেন, সেই সময়ে আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবো।’

শনিবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে বিশ্বব্যাংক তাদের সহযোগিতার হাত ফিরিয়ে নিয়েছিল। তারা চলে গেলেও আমরা আমাদের টাকা দিয়েই পদ্মা সেতু করেছি। জুন মাসেই চন্দ্রালোকিত পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখবে।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজকে দেশের এত সমৃদ্ধি। বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো থাকলে তো বিএনপির মন খারাপ করে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল তো হয়েই গেলো। ফখরুল সাহেব এবার কী বলবেন? তিনি নিশ্চয় বলবেন, শেখ হাসিনা সব করেই ফেললেন, আমরা কিছু পারলাম না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন আসছে কী দেখাবেন? জনগণকে কী দেখিয়ে ভোট চাইবেন? আপনাদের নেতা তো পলাতক দণ্ডিত তারেক রহমান। তাহলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বেগম খালেদা জিয়া?’

তিনি আরও বলেন, ‘১৩ বছর আন্দোলন করলেন। প্রতি বছর বলেন, ঈদের পর আন্দোলন..। ১৩ বছরে কত ঈদ এলো, আর কত ঈদ যে গেলো। আন্দোলন আর হলো না। আন্দোলনেও বিএনপি ফেল মেরেছে, নির্বাচনেও ফেল করেছে। এখন বলে বেড়াচ্ছেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস করে পরবর্তী নির্বাচনে জিতবে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী করে না, সন্ত্রাস করে বিএনপি। এটা তো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।’

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here