জিয়া রাজনীতির মধ্যে খাবার স্যালাইন তৈরী করেছিলেন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

0
268

খবর ৭১: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, এদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ কাজ করেনি। দেশপ্রেম শুধু আওয়ামী লীগের মধ্যেই আছে। এই দেশপ্রেম আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের মধ্য দিয়ে পাই। যারা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে খাটো করতে চেয়েছিল তারা আজকে কোথায়। জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, রাজনীতিবীদদের জন্য রাজনীতি আমি কঠোর করে দিব। রাজনীতি করা সংকির্ণ করে দিব এবং তিনি সেই কাজটিই করেছিলেন। তিনি রাজনীতির মধ্যে খাবার স্যালাইন তৈরী করেছিলেন। কিছু রাজাকার, কিছু মুক্তিযোদ্ধা, কিছু রাজনীতিবীদকে নিয়ে তিনি একটি সংগঠন করেছিলে। নাম দিয়েছিলেন প্রথমে জাগোদল,পরে জাগদল এবং শেষে বিএনপি। ভাসানী পন্থী কাজী জাফর এবং মশিউর রহমান যাদুরা এসে মজলুম জননেতা মৌলানা আব্দুল খাঁন ভাসানীর ধানের শীষ প্রতীকটা জিয়াউর রহমানকে দিয়েছিলেন। এই ছিল জিয়াউর রহমানের মিকচার পলিটিকস। পরবর্তীতে এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া সেই খুনিদের মধ্যে রশিদকে মহান জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছেন। এভাবে রাজনীতিকে কঠিন করে দেয়া হয়েছিল। রাজনীতি যখন কঠিন হয়ে যায়। তখন মানুষের জীবন কঠিন হয়ে যায়। রাজনীতি সহজ হলে মানুষের জীবন সহজ হয়। আজকে রাজনীতি সহজ সরল এবং পানির মত স্বচ্ছ। বলতে দ্বিধা নাই, এ দেশের মানুষের অধিকার নিয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ কাজ করেনি। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন‍্য দল শুধু এই বাংলাকে শাষণ শোষণ ও লুট করেছে। বাংলাদেশের যে অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অর্জন মুক্তিযুদ্ধের যে সংস্কৃতি-যে লড়াই করে বেঁচে থাকা, মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে ধুলিসাৎ করার জন্য, সেই স্বপ্ন যাতে বাস্তাবায়ন না হয় বাংলাদেশ যেন একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়-সে চেষ্টা করেছে অন‍্যান‍্য দল। দেশ বিদেশের বড় বড় বিষেশজ্ঞরা বলেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে পারবেনা। আর সেই কাজটিই করেছিলেন জিয়া-এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিরল উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসাবে গৃহহীনদের গৃহ ও জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা এটা আমাদের বিরল অর্জন। আমরা নাগরিক হিসাবে গর্বিত, প্রায় ৩৩ হাজার পরিবারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপহার হিসাবে এইসব নতুন ঘর দিচ্ছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা। এ চিন্তা ছিল বঙ্গবন্ধুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সলে আবাসন এবং আশ্রয়ন প্রকল্প গ্রহন করেন। শেখ হাসিনার লক্ষ‍্য এবং বিশাল অর্জন বাংলার কোন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর বিরলে ৪৭ টি পরিবারের মাঝে নবনির্মিত গৃহের জমির দলিলপত্র ও চাবি হস্তান্তর করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শরিফুল ইসলাম, বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফছানা কাওছার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরমেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষে দুপুরে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর
ছাত্রীদের মাঝে ১০ টি সাইকেল বিতরণ করেন এবং এর আগে সকালে উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের চককাঞ্চন শান্তিপুর জামে মসজিদের ছাদ ঢালাই কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, এবার ৩য় পর্যায়ে বিরল উপজেলায় ৪৭ টি নবনির্মিত গৃহের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হলেও এর আগে ১ম পর্যায়ে উপজেলায় ৫৫৬ টি ও ২য় পর্যায়ে ৩০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে নবনির্মিত গৃহের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী বিকালে দিনাজপুরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার, দোয়া ও আলোচনা সভায় যোগদান করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here