মাকে রাস্তায় পেলে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার-১

0
279

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) অপহরণের সময় হৃদয় মিয়া (১৮) নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। হৃদয় মিয়া মদন উপজেলার রূপাশ্রম গ্রামের টিটন মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় মিয়াকে সোমবার নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর সাথে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে ২২ ধারা জবানবন্ধি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেনিতে লেখা-পড়া করে। রবিবার বিকেলে স্কুলছাত্রীকে পুসলিয়ে তার নিজ বাড়ির সামনে থেকে মোটরসাইকেলে তুলেন হৃদয় মিয়া ও তার বন্ধু রাজন। স্কুলছাত্রীর মা বিষয়টি টের পেয়ে মোটরসাইকেল আটকানোর চেষ্টা করলে তাকে টেনে-হিছড়ে পেলে দিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মায়ের ডাক-চিৎকারে পথচারী লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানান। অপরদিকে স্থানীয় যুবকরা ১০/১৫ টি মোটরসাইকেল নিয়ে অপহরণকারীদের পিছু ধাওয়া করে মদন পৌর সদরের ভাই ভাই মার্কেট নামক স্থান থেকে হৃদয় মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় রাজন মিয়া কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে রবিবার রাতেই হৃদয় মিয়াসহ ৩ জনকে আসামি করে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা জানান, রবিবার বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে থেকে আমার ছোট মেয়েটিকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে মোটরসাইকেলটি ধরেও আটকাতে পারিনি। আমাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় পেলে দিলে গাড়ির পিছনে ছুটতে থাকি। এলাকাবাসী তাদের আটক করে মদন থানায় পুলিশে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

গ্রেপ্তার হওয়া হৃদয় মিয়ার বাবা টিটন মিয়া বলেন, রূপাশ্রম গ্রামের নিখিল সরকারের ছেলে রিপন সরকার মেয়েটিকে ভালবাসে। আমার ছেলে ভাড়ায় গাড়ি চালায়। রিপন ও রাজন ভাড়ার কথা বলে আমার ছেলেকে নিয়ে গিয়েছে। অপহরণের কান্ড হবে তা আমাদের জানা ছিল না।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, মেয়েটির মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে রবিবার রাতে মদন থানায় মামলা করেছে। প্রধান আসাসি হৃদয়কে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর সাথে ২২ ধারা জবানবন্ধি দিতে মেয়েটিকেও আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here