করোনার ওষুধ নিয়ে মহাকাশে প্রথম গবেষণার প্রস্তুতি শুরু

0
209

খবর৭১ঃ কোভিড, ক্যান্সার ও অ্যালঝাইমার্সের মতো জটিল রোগের নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কারের ভিত্তিভূমি হবে এবার মহাকাশ।

সেখানেই খতিয়ে দেখা হবে ওই সব রোগের চালু ওষুধগুলো মানবশরীরে কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে কাজ করলে তাদের কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে তোলা যায়।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (এসা) পক্ষ থেকে শনিবার একটি বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এসা জানিয়েছে, বিভিন্ন ওষুধ নিয়ে গবেষণার জন্য মহাকাশই হয়ে উঠতে পারে আদর্শ ক্ষেত্র। মহাকাশের ভরশূন্য (মাইক্রোগ্র্যাভিটি) অবস্থা বহু নতুন ওষুধ আবিষ্কার ও তাদের কার্যকারিতা বাড়ানোর রাস্তা খুলে দিতে পারে।

সেই গবেষণা চালানোর ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ওপরে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে।

ওষুধ মানবদেহে ঢুকে কোন লক্ষ্যে (ড্রাগ টার্গেট) পৌঁছবে, এবার তা প্রথম জানা যাবে মহাকাশে। ওষুধ শরীরে কীভাবে কাজ করবে, কোন পথ ধরে এগোবে, সেটিও প্রথম মহাকাশেই খতিয়ে দেখা হবে।

মহাকাশে বায়ুমণ্ডলের নেই কোনো ধরনের দূষণকণার অবিরত ঝাপ্টা বা অত্যাচার। তাই ওষুধ আবিষ্কার আর তা কীভাবে তাড়াতাড়ি বানানো যেতে পারে, সেই উপায় খোঁজার সেরা জায়গা হয়ে উঠতে চলেছে মহাকাশই।

এসা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে দেখা হবে কোভিডের অন্যতম ওষুধ রেমডেসিভিরের কার্যকারিতা কীভাবে বাড়ানো যায়। মানবকোষে থাকা যে সাইক্লোডেক্সট্রিনকে লক্ষ্য করে পাঠানো হয় রেমডেসিভির, মহাকাশের গবেষণাগারে এবার দেখা হবে সেই লক্ষ্যকে কীভাবে আরও নির্ভুল, আরও নিখুঁত করে তোলা যায়।

পরের ধাপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ওষুধ নিয়ে গবেষণা করবে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের অভিযানের নাম- ‘বায়োঅ্যাস্টারয়েড’। নতুন নতুন কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কারের জন্য তারা অণুজীবদের নিয়ে গবেষণা চালাবে মহাকাশ স্টেশনের ভরশূন্য অবস্থায়। চালানো হবে ডিএনএ নিয়েও গবেষণা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here